/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/06/laxmi-puja-2025-2025-10-06-15-41-29.jpg)
Laxmi Puja 2025: বাঙাল এবং ঘটিদের লক্ষ্মী আরাধনায় রয়েছে ভিন্নরীতি!
Laxmi Puja 2025: দুর্গাপুজোর পরই বাঙালি মেতে ওঠে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয়। ঘর থেকে মন্দিরে চলে সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো হয়। 'কোজাগরী' শব্দের অর্থ— 'কে জাগো রে?' সন্ধ্যায় পুজো শেষের পর রাত জেগে চলে দেবীর ব্রতকথা পাঠ এবং গুণগান।
যদিও বেশিরভাগ ভক্তই পুজো শেষের পর উপবাসে ইতি টেনে অন্যদিনের মতই ঘুমিয়ে পড়েন। তবে, ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী লক্ষ্মী এই সময় বিভিন্ন বাড়িতে টহল দেন। দেখতে আসেন কে জেগে আছে? এই পুজো বাংলার ঐতিহ্য হলেও মূলত এটি বাঙালদের পুজো। বরেন্দ্রভূমের পুজো।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুজোয় দেবীর এই প্রিয় মিষ্টি ভোগে রাখছেন তো? চটপট বানান এভাবে!
রাঢ় বাংলার বাসিন্দা বা রাঢ়ীদের পুজো বা ঘটিরা কিন্তু কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করেন না। তাঁদের পুজো অলক্ষ্মী বিদায়ের। সেটা হয় দীপাবলির রাতে। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া, মুর্শিদাবাদের একাংশকে বাদ দিলে বরেন্দ্রভূমের বিস্তীর্ণ ভূমি বর্তমানে পূর্ব বাংলা বা বাংলাদেশের অংশ।
আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো কেন রাতেই করা হয়? কারণ জানলে আশ্চর্য হবেন!
এই অঞ্চল উঁচু এবং বালুকাময়। নদী, নালা দিয়ে বিভক্ত। ধান, গম, আখের মত কৃষিকাজের জন্য উর্বর। আর রাঢ় বাংলা হল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল যেমন: হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম। কিছু ইতিহাসবিদের মতে রাঢ়বাংলার সীমা পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, পুজোর সময় এগুলো মিলিয়ে নেবেন ঠাকুরমশাই! কিছু বাদ পড়ল না তো?
বর্তমানে অবশ্য পরিস্থিতিটা বদলে গিয়েছে। বিয়ে বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাঙাল বা ঘটি দেখে কড়াকড়ি করার চল দীর্ঘদিন আগেই উঠে গিয়েছে। তার ফলে, বাঙাল এবং ঘটি পরিবারগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়েছে পরস্পরের রেওয়াজ।
আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় মানুন এই ১০ টোটকা, ঘরে উথলে উঠবে সুখ
তবে, শাশুড়ির থেকে বউমার পারিবারিক সংস্কৃতি শিখে নেওয়ার চল যতদিন পর্যন্ত ছিল, ততদিন অবধি বাঙাল এবং ঘটির রীতি-রেওয়াজ বেশ কঠোরভাবেই মানা হত বিভিন্ন পরিবারে।
আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর জন্য, বাড়িতেই সহজে বানান এই স্পেশাল নারকেলের লাড্ডু
তাহলে ঘটিরা কি লক্ষ্মীপুজো করে না?
আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীপুজো থেকে কোজাগরী পূজা কেন আলাদা? জানুন তাৎপর্য
অবশ্যই করে। যা করে, সেটা দীপাবলির সন্ধ্যায়। পাটকাঠি বাজিয়ে বিদায় দেওয়ার জন্য অলক্ষ্মীর পুজো হয়। এই অলক্ষ্মী হলেন লক্ষ্মীদেবীর বড় বোন। তাঁর জন্ম হয়েছিল প্রজাপতির পৃ্ষ্ঠদেশ থেকে।
আরও পড়ুন- কেন সরাতে হয় লক্ষ্মীপুজো? জানেন লক্ষ্মী পুজোর কতরকম সরা আছে?
আবার এমনও বলা হয় যে, লক্ষ্মীদেবীর জন্ম হয়েছে সমুদ্র মন্থনের সময়কালে। আর, অলক্ষ্মীর জন্ম হয়েছে বাসুকী নাগের মুখ থেকে বের হওয়া কালকূট বিষ থেকে। যখন অলক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করেন, তিনি ঘরে ঈর্ষা এবং অমঙ্গল নিয়ে আসেন। ভ্রাতৃদ্বন্দ্বে কুলবিনাশ করেন।
আরও পড়ুন- আসছে বছর আবার হবে! কিন্তু আগামী তিন বছর কবে দুর্গা, লক্ষ্মী, কালীপুজো? দেখে নিন এখানে
এই অলক্ষ্মী নাকি কল্কি পুরাণ এবং মহাভারত উল্লিখিত দৈত্য কলির দ্বিতীয়া স্ত্রী। তাঁর পুজো হয় প্রতিবছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে।