বাতিল নয় এবছরের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক। সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেছেন, ‘করোনা সংক্রমণ কমলে আয়োজন করা হবে পরীক্ষা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেভাবেই আলোচনা হয়েছে।‘ তাঁর মন্তব্য, ‘পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।‘
চলতি বছর মাধ্যমিক পয়লা জুন থেকে হওয়ার কথা ছিল। আর উচ্চমাধ্যমিক ১৫ জুন থেকে। কিন্তু রাজ্যব্যাপী জারি হওয়া লকডাউন বিধিনিষেধ এবং সংক্রমণের উর্ধমুখী গ্রাফ। এই দুইয়ের জাঁতাকলে স্থগিত করা হয় ঘোষিত সূচি। পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের মধ্যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তাহলে কি বাতিল হবে চলতি বছরের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক?
সেই প্রশ্নের জবাব এদিন দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও এভাবে অনিশ্চয় সূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষাবিদরা। এতে ক্রমে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আর পড়াশোনার প্র্যাকটিস নষ্ট হচ্ছে। যদিও এছাড়া আর কোনও উপায় প্রশাসনের কাছে খোলা নেই বলেও মন্তব্য তাঁদের।
এদিকে, বুধবার সকালে রাজ্যে এসে পৌঁছল ২ লক্ষের বেশি কোভিডশিল্ড ডোজ। রাজ্যের বরাতের পর এই টিকা বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ এসে পৌঁছেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। এই টিকা হাতে আসায় রাজ্যে টিকাকরণের গতি বাড়বে বলে আশা চিকিৎসা মহলে।
রাজ্যে এখন ৪৫ উর্ধ্বদের দ্বিতীয় টিকাকরণের পাশাপাশি ১৮-৪৪ বছরের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি চলছে। সূত্রের খবর, এই দ্বিতীয় ধাপের টিকাকরণের জন্য রাজ্যের হাতে মজুত টিকার পরিমাণ কমে আসছিল। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া থেকে এসে পৌঁছনো এই টিকা সেই সঙ্কট আপাতত মেটাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত এর আগেও এই ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের জন্য কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড টিকা এসেছিল এক দফায়। বুধবার দ্বিতীয় দফায় টিকা এল রাজ্যে। তবে এই দ্বিতীয় দফার টিকা কেন্দ্র সরবরাহ করেনি। পুণের সেরাম ইনস্টিটিটিউটের কাছ থেকে সরাসরি রাজ্যই কিনেছে।