ঘূর্ণিঝড় মোকার গতিপথ কোনদিকে? সে নিয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি হাওয়া অফিস। ফলে বাংলা-ওড়িশার দিকে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করেছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'মোকা না মোচা কী একটা আসছে। ভয় নেই। রাজ্য সতর্ক নজর রাখছে।'
Advertisment
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'বঙ্গোপসাগরে একটা নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। ৯ ও ১০ তারিখ নাগাদ একটু ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। ১১ তারিখ অবধি বৃষ্টি হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে চিন্তা করার কারণ নেই। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সুন্দরবন-দিঘা থেকে লোকজনকে সরানো হবে। ১১ তারিখ নাগাদ ঘূর্ণিঝড় আসবে, তারপর সেটা বাংলাদেশ হয়ে মায়ানমারে চলে যাবে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, গত ২ মে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের আগামী ১৪ মে অবধি সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে নবান্নে। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলে উদ্ধারকাজের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, পর্যাপ্ত ত্রাণও মজুত আছে। উদ্ধারকাজের জন্য এনডিআরএফ টিম তৈরি আছে। ২৫ লাখ ত্রিপল, ৭১ লাখ ত্রাণ সামগ্রীর জিনিসপত্র জেলাগুলোতে দেওয়া আছে।