পেঁয়াজের দামে 'চোখে জল' রাজ্যবাসীর। তবে নবদম্পতির নতুন চলার পথকে সেই ঝাঁঝ থেকে রেহাই দিতে ত্রিশ কেজি পেঁয়াজ উপহার দিলেন বন্ধুরা। অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল বর্ধমান।
ইতিমধ্যেই দামে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ। কিনতে দিয়ে প্রায় নাভিশ্বাস উঠছে রাজ্যবাসীর। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে পেঁয়াজ নিয়ে উঠে আসছে নানা ধরনের রঙ্গ-রসিকতা। কোথাও সোনার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে পেঁয়াজকে, কোথাও আবার উপহার হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। এবার সেই পথেই হাঁটল বর্ধমান। রবিবার দিঘিরপুল এলাকার একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে রাজগঞ্জের সঙ্গীতা কুণ্ডু ও আলমগঞ্জের শুভম রায়ের বিয়ে হয়। সেখানেই অপেক্ষা করে ছিল চমক। গায়ে হলুদের সময় ত্রিশ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে হাজির হন মেয়ের বন্ধুরা। বিয়ের উপহারস্বরূপ এটাই কনেকে উপহার দেন বন্ধুরা। তবে এই উপহারে হতবাক নবদম্পতি থেকে পরিবারের আত্মীয় পরিজনেরা।
আরও পড়ুন: ওরে, আমার পেঁয়াজ গিয়েছে চুরি!
কপিলকুমার কুন্ডু, জয়ন্ত আচার্য, পূজা রাজবংশী, ভোলানাথ রাজবংশীরা বলেন, "কী উপহার দেওয়া যায় সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে করতে পেঁয়াজ দেওয়ার কথা মাথায় আসে। বাজারে এখন মহার্ঘ পেঁয়াজ। নবদম্পতির সংসারে পেঁয়াজ নিয়ে যাতে প্রাথমিকভাবে কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণেই এই আয়োজন।" বাজার থেকে ৮০ টাকা কেজিতে ওই পেঁয়াজ কিনেছেন বলেও জানান তাঁরা।
এই উপহার পেয়ে খুশি নবদম্পতিও। পাত্রী সঙ্গীতা কুন্ডু বলেন, "সোশ্যাল সাইটে এই ধরনের ঘটনা দেখতাম। কিন্তু নিজের জীবনে যে এমন ঘটনার সাক্ষী হব তা স্বপ্নেও ভাবিনি।" পাত্র শুভমও এই ঘটনায় দারুণ অবাক। রসিকতার ছলে শুভম বলেন, "এত দামি জিনিস কীভাবে ঘরে রাখা যায়? ব্যাঙ্কের লকারে রাখা যায় কি না সেই বিষয়েই এখন চিন্তাভাবনা করতে হবে।"