অবশেষে ভূবনেশ্বরে এইমসের মর্গে মিলল বিধায়কের কাকা নিখিল ধারার মরদেহ।
এখনও বহু যাত্রীর খোঁজ পায়নি পরিবারের সদস্যরা। অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের নিখোঁজ যাত্রীদের পরিবারের সদস্যরা বালেশ্বর থেকে কটক, ভূবনেশ্বরের হাসপাতালের মর্গে মর্গে ঘুরছেন। প্রিয়জনের মৃতদেহ খুঁজছেন। এভাবেই দুর্ঘটনার পর থেকে ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারার পরিবারের সদস্যরা খুঁজছিলেন তাঁর কাকাকে। ওই ট্রেনেই সওয়ার ছিলেন নির্মলবাবুর কাকা নিখিল ধারা (৪৫)। অবশেষে ভূবনেশ্বরে এইমসের মর্গে মিলল বিধায়কের কাকা নিখিল ধারার মরদেহ।
Advertisment
দেহ শনাক্ত না হওয়ায় বিজেপি বিধায়ক জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দলীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, স্বরাষ্ট্র দফতর, রেলওয়ে দফতর-সহ বিভিন্ন জায়গায়। নির্মল ধারা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আমার কাকা ছত্তিশগড়ে সিআরপিএফে কর্মরত ছিলেন। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর থেকে কোনও খোঁজ মিলছিল না। শেষ লোকেশন পাওয়া গিয়েছিল বালেশ্বর। ওখানে ওনার লাগেজ, ড্রেস, আইডেন্টি কার্ড ও ফোন পাওয়া যায়। তারপর থেকে দুদিন কেটে যায়। আমার কাকিমা, দুই ভাই ও পাড়ার দু-তিনজন হন্যে হয়ে খুঁজেছে কাকাকে। কাল সন্ধের দিকে কাকার দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। মরদেহ ছিল ভূবনেশ্বরে এইমসে।"
Advertisment
ইন্দাস থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে কুশমুড়িতে বাড়ি বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারার। সেখানেই পাশাপাশি বাড়িতেই থাকেন তাঁরা। নির্মল ধারা বলেন, যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে দেহ শনাক্তকরণ করা খুব কঠিন। তবে কাকার চোখ-মুখ দেখেই শনাক্তকরণ করা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল দশটায় বাড়িতে দেহ নিয়ে চলে আসবে। সিআরপিএফের একটি দলও ওই মরদেহের গাড়ির সঙ্গে আসছে।