R G Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডে চাপ বাড়ছে সিবিআইয়ের উপর। গতকাল স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও পর্যন্ত নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে 'মহামিছিল' করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই মিছিলে যোগ দেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। একদিকে যখন ন্যায়বিচারের দাবিতে সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়ছে, তখনই শিয়ালদহ আদালতে প্রশ্নবাণে জর্জরিত সিবিআই।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডলের বিরুদ্ধে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কোন প্রমাণ কী পাওয়া গিয়েছে? আদালতের এই প্রশ্নেই কার্যত দিশেহারা সিবিআইয়ের আইনজীবী । আদালতের তরফে বলা হয় খুনের ঘটনার সঙ্গে সন্দীপ ও অভিজিৎ যে জড়িত তার কোন প্রমাণ সেভাবে পেশ করতে পারেনি সিবিআই। যদি তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ থেকে থাকে তাহলে অবিলম্বে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত।
অকল্পনীয় দক্ষতায় অনন্য দৃষ্টান্ত! রেলের মুকুটে নয়া পালক এনেছেন এই মহিলা কর্মীরাই
সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল ধর্ষণ-খুনের ব্য়াপারে আগে থেকে জানতেন বা তারা এই ঘটনায় জড়িত এমন প্রমাণ কী আদৌ পাওয়া গিয়েছে? আদালতের এই প্রশ্নে CBI-এর আইনজীবী তখন জানান, এখনও এবিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য়প্রমাণও নেই। এক মাস ধরে যে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। পাশাপাশি বিচারক প্রশ্ন তোলেন সন্দীপ-অভিজিৎ কী ধর্ষণ খুনে জড়িত নাকি তথ্য প্রমাণ লোপাটে জড়িত? সেই প্রশ্নের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, আপনারা যা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তা যুক্তি গ্রাহ্য নয়। সিবিআইয়ের তরফে সন্দীপ ঘোষের নারকো টেস্ট ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফের আবেদন জানানো হয়। এবিষয়ে পরবর্তী শুনানি ২৩ সেপ্টেম্বর। এদিনের সওয়াল জবাব শেষে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত CBI হেফাজত এবং সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সরকারে চাপে রেখেই কাজে ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, দিলেন বিরাট হুঁশিয়ারি
৪২ দিনের কর্মবিরতি শেষে অবশেষে কাজে ফেরা। আজ থেকে জরুরি পরিষেবায় ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ৪২ দিন নিজেদের দাবি ছিনিয়ে আনতে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তারা। সরকারের সঙ্গে হয়েছে দফায় দফায় আলোচনা। শেষে নিজেদের কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর'স ফ্রন্ট। 'থ্রেট কালচার', হাসপাতালের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সহ একাধিক দাবিতে বারে বারে সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাশাপাশি বার্তা দেওয়া হয়েছে নির্যাতিতার ন্যায় বিচার ছিনিয়ে আনার দাবিও। তবে কাজে ফিরলেও আংশিক কর্মবিরতি চলবে বলে জানানো হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। অর্থাৎ নির্যাতিতার ন্যায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত যে কোন ভাবেই জুনিয় ডাক্তাররা আন্দোলন থেকে পিছু হাঁটছেন না সেকথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারা।