ফের উত্তপ্ত শান্তিনিকেতন। এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হস্টেল খুলতে হবে, পরীক্ষা অনলাইনে করতে হবে এবং মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দিতে হবে। এই তিন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা। এরই মাঝে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীর মাধ্যমিকের প্রাক্টিক্যাল ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি সোমবার তারা কোনও আন্দোলন করেননি, পরীক্ষার্থীদের উপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছে তারা। অর্থাৎ তারা চাইলে পরীক্ষা দিতে পারে এমনই জানিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। সেই মতো বেশকিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে শান্তিনিকেতনের ভাষা ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে পরীক্ষার্থীরা দু'ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা বাড়ে।
অভিযোগ একপক্ষ পরীক্ষা দিতে চাইলেও অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর দাবি ছিল পরীক্ষার সময়সীমা পিছিয়ে দিতে হবে। এই নিয়ে অভিভাবকদের সাথে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর ধস্তাধস্তি হয়। এই ঘটনায় আহত হয় বিশ্বভারতীর পাঠভবনের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পূরক কুমার সরকার। তাকে শান্তিনিকেতনের পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ বেশ কিছু অভিভাবক বেপরোয়া ভাব দেখানো/ ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। পূরক বলেন, “আমরা অফলাইনেই পরীক্ষা দেব। কিন্তু আরও একমাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে না নেওয়ায় পরীক্ষা বয়কট করেছিলাম। অল্প সংখ্যক অভিভাবক পরীক্ষার পক্ষে ছিলেন। তাদের সঙ্গেই আমাদের ধ্বস্তাধস্তি হয়। তাঁরা আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে”।
প্রসঙ্গত, এবছর পাঠভবন ও শিক্ষাসত্র মিলিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দুই শতাধিক। এখন পরীক্ষা হবে কিনা সে নিয়ে দোলাচলে পড়ুয়া দেখে অভিভাবকরা। ফলে এই মুহূর্তে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয় সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলে। যদিও এ বিষয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।