তুমুল বৃষ্টিতে বাংলাদেশের এক চতুর্থাংশ এলাকাই জলের তলায় চলে গিয়েছে। মাটির বাড়ি, মুরগি, ছাগল, ধানের বস্তা-বানভাসি মানুষগুলোর এই সম্বলটুকুও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। উল্লেখ্য়, মাস দুয়েক আগে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অংশে আছড়ে পড়েছিল একটি ঘূর্ণিঝড়। বিজ্ঞানীদের মতে, নদীর জলে বাংলাদেশে প্লাবিত হওয়ার ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে।
সরকারি হিসেব ও স্য়াটেলাইট তথ্য় অনুসারে, সে দেশের স্থলভাগের ২৪ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশ ডুবে গিয়েছে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪.৫ মিলিয়ন মানুষ। মৃত্য়ু হয়েছে কমপক্ষে ৫৪ জনের, যাদের মধ্য়ে অধিকাংশই শিশু। প্রবল বর্ষণের জেরে ব্রহ্মপুত্রের জলে বন্য়ায় ভেসেছে দেশের একাংশ। অগাস্টের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই দুর্দশা চলতে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওবামা-বিল গেটসদের টুইটার হ্য়াককাণ্ডে পাকড়াও ৩
জুন মাসেই বন্য়ার শুরু হয়। যাঁরা ব্রহ্মপুত্রের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকেন, তাঁদের কাছে বন্য়া নতুন কিছু নয়। যখনই নদী ফুলেফেঁপে ওঠে, তখনই তাঁরা নিজেদের যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে উঁচু এলাকায় আশ্রয় নেন। তারপর অপেক্ষার পালা চলে, কখন জলস্তর নামবে। যা কিছু সঞ্চয় থাকে, তাই দিয়েই তাঁদের দিন গুজরান হয়।
তবে এ বছরটা একটু অন্য়রকম। জুন মাসে বন্য়ার শুরুর আগে থেকেই তাঁদের দুর্দশা বাড়িয়েছে করোনায় লকডাউন পরিস্থিতি। লকডাউনে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। অধিকাংশ মানুষের হাতে কোনও খাবার নেই। যার জেরে দুর্দশা আরও বেড়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন