Advertisment

রাত ৮টার পর ইমরানের বিরুদ্ধে ফয়সালা, পাশাপাশি চলছে ভোটাভুটি এড়ানোর চেষ্টা

বিরোধীদের অভিযোগ, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টকে এড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না-মানার শাস্তি ৩ বছরের কারাদণ্ড-সহ মোট ৮ বছরের সাজা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
no-confidence motion against pakistan PM imran khan cabinet updates

ইমরানের এই বক্তব্যের পরই তুমুল ট্রোল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।

পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট রাত ৮টার পরে হবে। দুপুরেই স্পিকারের ঘরে সরকারপক্ষ এবং বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কোনও পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে টিকা-টিপ্পনি করবে না। পরস্পরকে উত্যক্ত করবে না। নিয়মমাফিক ভোট হবে রাত ৮টার পর। ভোট শেষ হতে রাত ৯টা হয়ে যেতে পারে।

Advertisment

তার মধ্যেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরান খান ইস্তফা দিতে পারেন। এমন জল্পনাও চলছে। সেটা অবশ্য অন্য ব্যাপার। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারপক্ষ কৌশল গ্রহণ করে ভোট এড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছে। সেই কথা মাথায় রেখে তাঁরা আইনজীবীদের বিশেষ দলকে প্রস্তুত রেখেছেন বলেই বিরোধীরা জানিয়েছেন। যাতে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।

আবার, এই সময়ের মধ্যেই সরকারপক্ষ পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলের দাবি। সরকারপক্ষের আইনজীবীরা পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৯ নম্বর ধারাকে মাথায় রেখে এই আবেদনে জানাচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্টের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এর আগে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, অনাস্থা প্রস্তাব একবার পার্লামেন্টে গৃহীত হলে, তা ভোটাভুটি ছাড়া খারিজ করা যায় না। নতুন আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট সাড়া দিলে, ভোটাভুটি স্থগিত হয়ে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা।

ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের শাসক দলের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতির কথা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিরোধীরা সরকারপক্ষের কোনও বক্তব্যই মানেনি। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের ভিত্তিতে ভোটাভুটিতে না-গেলে ভুলতে হবে ইমরান খান-সহ শাসক দলের নেতাদেরই।

সরকারপক্ষ কখনও বেলা ১টা, কখনও রাত ৮টার পর ভোটাভুটি হবে বলে আসলে ভোটাভুটি এড়ানোর চেষ্টা করছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের বক্তব্য, এই ভাবে আসলে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টকে এড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না-মানার শাস্তি ৩ বছরের কারাদণ্ড-সহ মোট ৮ বছর ইমরান এবং পাকিস্তানের শাসক নেতাদের ভুগতে হবে। পাশাপাশি, এই সাজার আওতায় পড়বেন পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকারও। একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিরোধীরা। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, তাঁর সরকারের দুর্নীতি বেরিয়ে পড়বে বুঝতে পেরেই ভোটাভুটি এড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

Read story in English

Imran No-Trust Vote
Advertisment