শেষ পর্যন্ত পাঞ্জশির সম্পূর্ণভাবেই তালিবানের দখলে। সংবাদসংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিরোধ বাহিনীর লড়াই শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়েছে বলেই খবরে উঠে এসেছে। বিজয়ের সংকেত হিসাবে পাঞ্জশির উপত্যাকায় উড়ছে তালিবান পতাকা। এমনকী এই প্রদেশের রাজধানী বারাজাকে গর্ভনর দফতরও তালিবান যোদ্ধাদের দখলে চলে গিয়েছে। যদিও তালিবানদের এই দাবি, 'ভুয়ো' বলে এক টুইটবার্তায় দাবি করেছে ন্যাশনাল রেজিস্টান্স ফোর্স অফ আফগানিস্তান।
প্রতিরোধ বাহিনীর তরফে করা টুইটে লেখা হয়েছে যে, "পাঞ্জশির দখলের তালিবানি দাবি মিথ্যা। লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপত্যাকার গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গাতেই ন্যাশনাল রেজিস্টান্স ফোর্স হাজির রয়েছে। যতক্ষণ না ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয় ততক্ষণ তালিবান ও তাদের সহযোগিদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম জারি থাকবে- এই কথা বলেই আমরা আফগানিস্তানের জনগণকে আশ্বস্ত করছি।"
আলি মায়েসাম নাজারির তরফে আরেকটি টুইটে দাবি করা হয়েছে যে, প্রতিরোধ বাহিনীর নেতা আহমেদ মাসুদ সুস্থ ও সরক্ষিত রয়েছেন। টুইটে বলা উল্লেখ, "আমার নেতা ও বড়ভাই সরক্ষিত রয়েছেন। খুব দ্রুত জনতার উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন তিনি।"
এদিকে লড়াইয়ে হার কার্যত নিশ্চিত জেনেই এর আগে তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তাবে রাজি বলে জানিয়েছিলেন পাঞ্জশিরের প্রতিরোধ বাহিনীর প্রধান আহমেদ মাসুদ। তাঁর দাবি ছিল যে, পাঞ্জশির উপত্যকায় হামলা বন্ধ করতে তালিবানকে। মাসুদকে এর আগেও একাধিকবার আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন আফগানিস্তানের ধর্মীয় নেতাদের একাংশ। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও হিংসা থামাতে মাসুদকে তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আবেদন করেছিলেন। এবার সেই আবেদনে সাড়া দেন মাসুদ। তালিবানের তরফেও প্রতিরোধ বাহিনীর প্রধানের আলোচনার বার্তাকে স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পাঞ্জশির দখলের দাবি করেছে তালিবান।
একটানা কয়েক সপ্তাহ ধরে পাঞ্জশিরে তালিবান যোদ্ধাদের মোকাবিলায় রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চালাচ্ছে মাসুদের প্রতিরোধ বাহিনী। মুখে পাঞ্জশির দখলের কথা বারবার বলে চলেছে তালিবান। তবে তালিবানের সেই দাবি ওড়াচ্ছেন প্রতিরোধ বাহিনীর প্রধান।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন