উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে বাগরি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের পর এ শহরে উপর্যুপরি বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যে ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম অক্টোবর মাসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অগ্নিকাণ্ড।
পোস্তার ১৯ নলিনী শেঠ রোড এলাকায় একটি দোকানে আগুন লাগে এদিন। ওই দোকানে আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলের গাড়ির ধাক্কায় গৌরী দাস নামে বছর চল্লিশের এক মহিলা আহত হয়েছেন বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে।
শনিবার বিকেলে কলকাতার উচ্চতম বহুতল ‘দ্য ৪২’ তে আগুন লাগে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ পোস্তার শিবতলা লেনে কাপড়ের গুদামে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ছটি ইঞ্জিন।
Fire at Kolkata's Park Street Apeejay House Building, Fire News in Bengali Live Updates: পার্ক স্ট্রিটে এপিজে হাউসে আগুন নিভল। সকাল ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে।
দেবেন্দ্র চন্দ্র দে রোডের একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লেগেছে বিকাল ৫টা ২৩ মিনিটে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন।
সোনারপুর বাজি কারখানায় আগুন লেগে মারা গেলেন ১৯ বছরের দেবাশিস সর্দার। ন্যশানাল মেডিকেল কলেজে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও দু জন।
৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যে পাঁচটি বড়মাপের দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেতু ভঙ্গ থেকে আগুন, গুলি থেকে বিস্ফোরণ, বাদ যায়নি কিছুই।
ওয়াসিম এক নার্সকে জানিয়েছিলেন তাঁর পেটে ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা সে সবের তোয়াক্কা না করে ওয়াসিমকে চাদরে মুড়ে নিয়ে যান জরুরি বিভাগের ভিতরে।
সঞ্জীব সিং নামের ওই ব্যক্তি ব্রেবোর্ন রোডের বাসে আগুন লাগাবার ঘণ্টাখানেক আগে বিজেপির একটি মিছিলে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে হেঁটেছিলেন।
Fire Catches in Durgapur City, West Bengal:দুর্গাপুরে সিটি সেন্টার এলাকার একটি বহুতলে এদিন আগুন লাগে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
বাগরির অগ্নিকাণ্ডের পর এবার নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য় সরকার। দীর্ঘ বৈঠকের পর মন্ত্রী গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভবনটি পরীক্ষা করে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা রাখা হবে কি না।
বাগরি মার্কেটের আগুনে ছাই হয়ে গিয়েছে কোটি কোটি টাকার মাল। পুজোর মুখে হাহাকার লেগে গিয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কিন্তু তিন প্রধান অভিযুক্ত এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
"মুটিয়ার কাজ করে রোজ ৪০০-৫০০ টাকা পেতাম। আগুনে সব শেষ হয়ে গেল। কোথায় আর কাজ পাব জানি না। দেখা যাক, কাজ না জুটলে বাড়ি চলে যাব। বাড়ির লোক বলছে, ফিরে আসতে।"
বাগরি মার্কেটের আগুন নেভাতে গাড়ি ঢুকতে পারেনি রাস্তার পাশের ডালার জন্য। এই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী নেতৃত্ব। তা এত বিরোধিতা সত্ত্বেও ডালা নিয়ন্ত্রণে অপারগ কেন প্রশাসন?
বাগরি অগ্নিকাণ্ডে অবশেষে রাধা বাগরিসহ বাগরির দুই মালিক ও সিইও-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল দমকল বাহিনী। অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সরব হলেন বিমান বসু।
বড়বাজারের মার্কেটে সাধারনত আগুন লাগে ছুটির দিনের আগের রাতে। তারপর পুড়ে ছাই। কান্না ও হাহাকারই সম্বল হয়ে দাঁড়ায় ব্যবসায়ীদের। এই আগুন লাগা নিয়ে প্রতিবারই বহু প্রশ্ন দেখা দেয়।
