'জার্মানি ও ভারতের সামাজিক বাস্তবতা মোটেই এক নয়। অদূর ভবিষ্যতে এদেশে ক্রিকেট ইভেন্ট হওয়ার সম্ভবনা নেই। কারণ এখানে অনেক প্রশ্ন জড়িয়ে।"
আইপিএলে মালিঙ্গার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ২০১১ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে। ৩.৪ ওভার বোলিং করে ১৩ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেছিলেন।
প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণা করার পরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয় টুর্নামেন্ট। এরপর আরও একদফা লকডাউন ঘোষণা করতেই বিসিসিআই অনির্দিষ্ট কালের জন্য আইপিএল স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
সেরা ক্যাপ্টেন বিভাগে জোড়া চ্যাম্পিয়ন মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রোহিত শর্মা। দুজনের অধিনায়কত্বেই সিএসকে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ধারাবাহিকতায় বাকিদের থেকে অনেক এগিয়ে।
"কোহলি যে সেরা ক্রিকেটার তা নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। তবে সেরাদেরও দুর্বলতা থাকে। যা নিয়ে রীতিমত পরিকল্পনা করা যায়। সেই একটা দুর্বলতাতে ফোকাস করতে হয়।"
জুলাই মাসেই ভারতের বিরুদ্ধে তিনটে করে টি২০ ও ওডিআই ম্যাচ খেলার কথা শ্রীলঙ্কার। সেই সিরিজের বদলেই আইপিএল আয়োজনে উদ্যোগী হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেট বোর্ড।
এর আগে দু মরশুম আইপিএল বিদেশে খেলা হয়। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের কারণে আইপিএলের প্রথম দু সপ্তাহ ইউএই-তে খেলা হয়। ২০০৯ সালের পুরো আইপিএলই অবশ্য আয়োজন করা হয় সাউথ আফ্রিকায়।
প্রচন্ড আর্থিক ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে আইপিএল। এমন অবস্থায় বোর্ডের একাংশ জুলাইয়ের উইন্ডোতে আইপিএল আয়োজনের পক্ষপাতী ছিল। তবে বৃহস্পতিবারের পর সেই সম্ভাবনায় ইতি পরে গেল।
ধোনি দারুন একজন ব্যাটসম্যান। এখন পুরোপুরি ফিটও। ধোনি আইপিএলে খেলতে চায়। অধিনায়কত্ব করবে। নিজের গ্রহণ যোগ্যতার কথা ও জানাচ্ছে। ও সবসময় জিততে চায়।
সরকারিভাবে এখনও বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। যদিও সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বোর্ডের তরফ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে অনির্দিষ্টকালের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে।
"অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের বার্তাই ছিল, আমি কোহলিকে স্লেজ করবো না। আমি চাই কোহলির ব্যাঙ্গালোর আমাকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিক ছয় সপ্তাহে খেলার জন্য।"
"ও একজন অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। ও বিশ্বাস করে যে শেষ পর্যন্ত প্যানিক করে সেই ম্যাচটা হারে। তাই ও মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করে। বোলারের উপর চাপ বাড়িয়ে যায়।"
ধোনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। আইপিএলে পারফর্ম করেই ফের টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার মানসিক প্রস্তুতিও সারা ছিল।
এর আগে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, আইপিএল নিয়ে কোনোকিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। কীই বা বলার রয়েছে! বিমানবন্দর বন্ধ, মানুষ বাড়িতে আটকে রয়েছে। অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে।
"পরের মাসে আইপিএল আয়োজন করা হলে কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা এদেশে আসবে, কারণ অস্ট্রেলিয়া ৬ মাস লকডাউন রয়েছে। পাশাপাশি অন্য বোর্ডের সম্মতির প্রয়োজন।"
ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় এক বছর খেলেননি। একাধিকবার অবসরের কথা উঠলেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। দেশ ও বিদেশের মাটিতে পরপর সিরিজে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি।
আর্থিক ক্ষতির কারণেই আইপিএল আয়োজনে জোর দিতে বলছেন তিনি, "আইপিএল না হলে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদেরই ক্ষতি। এটা মোটেই বাস্তবসম্মত হবে না। তাই পুরো সূচি বদলানোর কথা বলছি।"
