Union Budget 2019: অন্তর্বর্তী অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবছরের অন্তর্বর্তী বাজেটে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন। এর মধ্যে রয়েছে কৃষকদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও বার্ষিক পাঁচ লক্ষ টাকা বা তার কম আয় হলে সম্পূর্ণ ট্যাক্স ছাড়। প্রত্যাশা অনুযায়ীই কৃষকদের জন্য এলো আর্থিক প্যাকেজ, যার অধীনে পাঁচ একরের কম আয়তনের জমি থাকলে বছরে ৬,০০০ টাকা প্রতি কৃষক বরাদ্দ হলো। প্রধানমন্ত্রী কিসান সন্মান নিধি নামক এই প্রকল্পের আওতায় ১২ কোটি ছোট এবং মাঝারি কৃষক লাভবান হবেন, ব্যয় হবে ৭৫,০০০ কোটি টাকা।
অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য নিশ্চিত ৩,০০০ টাকার মাসিক পেনশন ঘোষণা। মেগা পেনশন যোজনা, পোশাকি নাম প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগ মন্ধন, ষাট বছরের অধিক বয়সী কর্মীদের ৩,০০০ টাকার মাসিক পেনশন প্রদান করবে, মাসিক ১০০ টাকা চাঁদার বিনিময়ে। গোয়েল জানালেন, এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন ১০ কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী।
করদাতাদের জন্যও বড় রকম ছাড়ের ঘোষণা করলেন গোয়েল। বাড়ল আয়কর ছাড়ের উর্দ্ধসীমা, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের ঘোষণা। এক ধাক্কায় দ্বিগুণ। চাকুরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর।
Don't miss our LIVE explanation of #Budget2019. Follow our LIVE blog on @indianexpress
LIVE: https://t.co/ZXdhfHyrztpic.twitter.com/3Iniv72vrV
— Express Explained (@ieexplained) February 1, 2019
উল্লেখ্য, বাজেটের প্রাক্কালে ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস (NSSO)-এর ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭-১৭ আর্থিক বর্ষের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এই এক বছরে বেকারত্ব এক লাফে ছয় শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা কিনা ১৯৭২-৭৩ সালের পর সর্বোচ্চ। বলা বাহুল্য, এই তথ্য প্রকাশ পাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়, এবং কংগ্রেস-বিজেপি চাপানউতোরের চোটে কান পাতা দায় হয়ে পড়ে।
Union Budget 2019-20 LIVE Updates
1.30 pm: পরপর টুইট করে বাজেট সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানালেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর কথায়, এই বাজেট ব্যয় বাড়াতে সমর্থ হয়েছে, কিন্তু আর্থিক বিচক্ষণতা বজায় রেখে। একথা অনস্বীকার্য যে এই বাজেট বৃদ্ধি, আর্থিক দূরদর্শিতা, কৃষক, ও দরিদ্রের পক্ষে। একইসঙ্গে এই বাজেটের জেরে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রয় ক্ষমতা বাড়ল। বস্তুত, ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রতিটি বাজেটেই উল্লেখযোগ্য সুবিধে পেয়েছেন দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ।
Between 2014-19, every Budget has given significant relief to the Middle Class.
— Arun Jaitley (@arunjaitley) February 1, 2019
1.15 pm: সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ডেলোয়েট সংস্থার পার্টনার নীরু আহুজা জানালেন, "এই বাজেট প্রত্যাশিতই ছিল। সবকিছু যোগ করলে বছরে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে কর দিতে হবে না। যেহেতু এটি অন্তর্বর্তী বাজেট, আমি একে দশে সাড়ে আট দেব।"
1.10 pm: গোয়েলের কথায়, ভারতের উন্নতি ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের পথ সুনিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে। দেশের কৃষকদের আয় ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
12.55 pm: একদিকে কৃষিক্ষেত্রে জনমুখী প্যাকেজের বিপুল সম্ভার, অন্যদিকে চাকুরিজীবীদের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া আয়করের উর্দ্ধসীমা, প্রাক-নির্বাচনী এই বাজেটের একটাই বিশেষণ হয় আপাতত। জনমোহিনী!
12.45 pm: ট্যাক্সের হার অপরিবর্তিত থাকলেও বার্ষিক পাঁচ লক্ষ টাকা বা তার কম আয় হলে কোনো কর দিতে হবে না।
12.35 pm: অতি আবশ্যক পণ্যের বেশিরভাগের ওপরেই বর্তমানে ০-৫ শতাংশ জিএসটি লাগু রয়েছে। ক্রমাগত জিএসটি কমার ফলে দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ৮০,০০০ কোটি টাকার সুবিধে দেওয়া গেছে। এছাড়াও ৯৯ শতাংশ অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন কোনো স্ক্রুটিনি ছাড়াই গ্রহণ করা হয়েছে।
12.27 pm: বাড়ল আয়কর ছাড়ের উর্দ্ধসীমা, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের ঘোষণা। এক ধাক্কায় দ্বিগুণ। চাকুরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর।
12.20 pm: ভারতীয় রেলের ক্ষেত্রে এটি ছিল নিরাপদতম বছর। ব্রড গেজ লাইনে কোনো অসুরক্ষিত লেভেল ক্রসিং আর নেই। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (ট্রেন ১৮) গতিময় পরিষেবা ও নিরাপত্তাই শুধু দেবে না, সঙ্গে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের কার্যকারিতাও প্রমাণ করবে, বললেন গোয়েল। পরিকাঠামো বিষয়ে তিনি বললেন, ভারতে এখন রোজ ২৭ কিমি করে হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে।
12.15 pm: একে একে রান্নার গ্যাস, ভারতীয় রেল, প্রতিরক্ষা, এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সরকারি অবদানের কথা বললেন অন্তর্বর্তী অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের অন্তর্গত ছ'কোটি এলপিজি কানেকশন বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাজেট ধার্য করা হয়েছে তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি।
12.05 pm: অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য নিশ্চিত ৩,০০০ টাকার মাসিক পেনশন ঘোষণা। মেগা পেনশন যোজনা, পোশাকি নাম প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগ মন্ধন, ষাট বছরের অধিক বয়সী কর্মীদের ৩,০০০ টাকার মাসিক পেনশন প্রদান করবে, মাসিক ১০০ টাকা চাঁদার বিনিময়ে। গোয়েল জানালেন, এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন ১০ কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী, এবং এই ক্ষেত্রে এটি আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের বৃহত্তম পেনশন স্কিম হয়ে উঠতে পারে।
12.00 pm: ছোট এবং মাঝারি কৃষকদের জন্য আরো সুখবর - পশুপালন ও মৎস্যচাষ করেন যাঁরা, তাঁদের জন্য দুই শতাংশ সুদ ভর্তুকির ঘোষণা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্যও দুই শতাংশ সুদ ভর্তুকি, এবং যথাসময়ে কৃষি ঋণ শোধ করতে পারলে আরও তিন শতাংশ সুদ ভর্তুকি।
11.50 am: দেশে ১২.৫৬ কোটি কৃষক আছেন যাঁদের জমির আয়তন দুই হেক্টরের, অর্থাৎ পাঁচ একরের কম। কৃষক প্রতি ৬,০০০ টাকা ব্যয় করলে মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৫,৩৬০ কোটি টাকা। এই ঘোষণাই করলেন গোয়েল, কিছুটা তেলেঙ্গানা সরকারের 'ঋতু বন্ধু' প্রকল্পের আদলে।
Budgetary warning: Budget announcements are subject to jumla risks, please read the Budget document carefully before believing. #Budget2019 #AakhriJumlaBudget pic.twitter.com/UtpmItaBIf
— Congress (@INCIndia) February 1, 2019
11.43 am: যেমন ভাবা হয়েছিল, ঘটল তেমনই।কৃষকদের জন্য আর্থিক প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দিচ্ছেন গোয়েল। মোদী এবং বিজেপি সাংসদদের টেবিল-চাপড়ানিতে মুখর সংসদ-কক্ষ।
11.40 am: তুরুপের তাস অবশেষে বেরোল গোয়েলের আস্তিন থেকে। প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান যোজনা চালু করার ঘোষণা। দেশের ১২ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন এই যোজনায়, দাবি মন্ত্রীর।
11.35 am: MGNREGA প্রকল্পের অধীনে ৬০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সরক যোজনার অধীনে ১৯,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যোজনার কল্যাণে নির্মিত হয়েছে ১.৫৩ লক্ষ বাড়ি, বললেন গোয়েল। "অতীতের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি নয়, আমরা নির্দিষ্টভাবে অর্থব্যয় করেছি গ্রামীণ জীবনের উন্নয়নের স্বার্থে," বললেন তিনি।
11.30 am: কৃষকরাই দেশের চালিকাশক্তি, বললেন গোয়েল। প্রত্যাশামতোই কৃষকদের জন্য আসতে চলেছে জনমুখী প্যাকেজ? এই বাজেটে পাখির চোখ হতে যাচ্ছে কৃষিই, তার যথেষ্ট ইঙ্গিত মিলছে এ যাবৎ গোয়েলের বক্তব্যে।
11.27 am: স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প দেশে আন্দোলনের রূপ নিয়েছে, এই দাবির পাশাপাশি গোয়েলের আরও দাবি, দেশে কমেছে মূল্যবৃদ্ধির হার। দেশে মূল্যবৃদ্ধির কোমর ভেঙে দিয়েছে মোদী সরকার। এটা যখন বলছেন গোয়েল, আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে টেবিল চাপড়াতে দেখা গেল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই।
11.25 am: রাজস্ব ঘাটতি কমেছে, এমনটাই দাবি করলেন পীযুষ গোয়েল। ঘাটতি কমে জিডিপি-র ২.৫ শতাংশ এখন। ফলে দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ শক্ত হয়েছে, বললেন গোয়েল।
11.20 am: বিরোধী বেঞ্চের শোরগোলের মাঝেই ঠিক ১১.০২ মিনিটে ২০১৭-১৮ সালের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করতে উঠলেন গোয়েল। ভাষণ শুরু করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দ্রুত আরোগ্য কামনা করে।
11.10 am: সেনসেক্স ১৫১.৪৪ পয়েন্ট উঠে আপাতত ৩৬,৪০৮.১৩ এ দাঁড়িয়ে। অন্তর্বর্তী বাজেটে কৃষকদের লাভের আশায় সার বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে।
11.00 am: এদিকে সরকারের কড়া সমালোচনা করে সংসদে কংগ্রেস পার্টির প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানালেন, "সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নানারকম জনপ্রিয় স্কিম ঘোষণা করা হবে। এদের একটা বাজেটও তো জনসাধারণের ভালো করে নি। আজও স্রেফ 'জুমলা' বেরোবে। হাতে আছে তো আর মাত্র চার মাস, স্কিমের কাজটা কবে করবে ওরা?”
10.50 am: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাধামোহন সিং এখন পর্যন্ত কৃষক দরদী বাজেটের স্বপক্ষে সবচেয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানালেন, "গত পাঁচটি বাজেট কৃৃৃষকদের জন্য ছিল, ষষ্ঠ বাজেটও তাই থাকবে। এই বাজেট কৃষকদের ক্ষমতায়নের বাজেট।"
10.10 am: লোকসভা ভোটের আগে কৃষকদরদী সরকার। বাজেটে কৃষকদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে সরকার।
10.00 am: সংসদের পথে পীযূষ গোয়েল, সেই মুহূর্তের ছবি।
Delhi: Finance Minister Piyush Goyal on his way to the Parliament after briefing President Ram Nath Kovind #Budget2019 pic.twitter.com/GQreYUidFi
— ANI (@ANI) February 1, 2019
9.45 am: সরকার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে পারে জোর চর্চা শুরু হয়। সরকার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলে, বিরোধিতায় সরব হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় কংগ্রেস। যদিও বিরোধীদের আশ্বস্ত করে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবে সরকার।
9.25 am: সংসদে পৌঁছলেন অন্তর্বর্তীকালীন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
9.10 am: আজ সকাল ১১টায় অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবে মোদী সরকার। অরুণ জেটলি নন, বাজেট পেশ করবেন অন্তর্বর্তীকালীন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
Delhi: Piyush Goyal arrives at the Ministry of Finance. He will present interim Budget 2019-20 in the Parliament today. #Budget2019 pic.twitter.com/fHQMwkSXc1
— ANI (@ANI) February 1, 2019
বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের আগে বিরোধী দলগুলোকে আশ্বস্ত করে মোদী জানিয়েছেন, তাঁর সরকার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটই পেশ করবে। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও একই কথা বলেন।
লোকসভা ভোটের মুখে সরকার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলে, তার বিরোধিতা করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কংগ্রেস। বাজেটের পরিবর্তে ভোট-অন-অ্যাকাউন্টের দাবি তুলেছিল তারা। বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে পীয়ূষ গোয়েল বলেছিলেন, ''বাজেট মানে বাজেটই। অন্তর্বর্তী বা ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট নয়।'' শেষমেশ বিতর্কে ইতি টেনেছে খোদ সরকারই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করা হবে।