সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) একটি বিশেষ প্রকল্পের অধীনে দ্বাদশ শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীদের বাকি পরীক্ষা না দিয়ে পাস করার অনুমতি দিতে পারে। তবে কেউ যদি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক হয়, তাহলে তাদের জন্যও থাকবে বোর্ডের বিকল্প ব্যবস্থা।
জনা যাচ্ছে, সিবিএসই হয়ত জুলাই মাসে বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল করতে পারে। এর পরিবর্তে মূল্যায়নের বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে আসতে পারে। যেসব শিক্ষার্থী তাদের ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকবে তারা বোর্ডে জানাতে পারে। পরিস্থিতি ঠিক হলে, খাতায় কলমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে বোর্ড।
সরকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে বর্তমানে কভিড-পজিটিভের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সিবিএসই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। তবে এর চেয়ে দেরি হলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সিবিএসই-র শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে।
বর্তমানে প্রায় ১৯ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের বোর্ড পরীক্ষা শেষ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিহার, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটক।
“যেসব রাজ্য তাদের পরীক্ষা শেষে করে ফেলেছে তারা শীঘ্রই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করবে। ১৫ জুলাইয়ের পর পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে সিবিএসই শিক্ষার্থীরা সমস্যার মুখে পরবে। বিহারের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার সম্ভাবনার কথা ঘোষমা করেছে।
সিবিএসই এই সপ্তাহে দুটি বৈঠকে এইচআরডি মন্ত্রকের সঙ্গে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে। বোর্ড বর্তমানে বিকল্প মূল্যায়নের পদ্ধতির উপর কাজ করছে। যার মাধ্যমে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
সূত্রগুলি যোগ করেছে, জাতীয় স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা যেমন JEE (Main), JEE (Advanced) এবং NEET সম্ভাবনা নেই। এগুলি আরও পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে তবে তা বাতিল করা হবে না।
Read the full story in English