Advertisment

বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে 'স্প্যানিশ ফ্লু' রাখতে চায় মন্ত্রক

প্রথম ধাপে এর প্রভাব ছিল অপেক্ষাকৃত মৃদু, কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে সারা দেশে আছড়ে পড়ে মহামারী, ১৯১৮ সালের অন্তিম ভাগে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্প্যানিশে ফ্লু। ছবি- উইকিপিডিয়া

বিশ্বব্যাপী মহামারী ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই COVID-19’এর তুলনা শুরু হয়েছে ১৯১৮-১৯ সালের ‘স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জা’ মহামারীর সঙ্গে। আজ থেকে ঠিক এক শতক আগের এই মহামারী মানবজাতির সাম্প্রতিক ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম, যা পৃথিবী জুড়ে কেড়ে নিয়েছিল ২০ থেকে ৫০ মিলিয়ন (২ থেকে ৫ কোটি) মানুষের প্রাণ। আর সেই ঘটনার ইতিহাস সিলেবাসে রাখতে চায় ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন।

Advertisment

বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার বিষয়বস্তু হতে পারে স্প্যানিশ ফ্লু, এমনটাই মনে করেন রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে, " মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের পঠনপাঠনে ভারত কীভাবে ১৯১৮ সালের মহামারী (এইচ 1 এন 1 ভাইরাস) সামাল দিয়েছিল এবং মহামারীর পরে অর্থনীতি বৃদ্ধিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা যোগ করা হয়।"

দুটি ধাপে ভারতকে গ্রাস করে স্প্যানিশ ফ্লু – প্রথম ধাপে এর প্রভাব ছিল অপেক্ষাকৃত মৃদু, কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে সারা দেশে আছড়ে পড়ে মহামারী, ১৯১৮ সালের অন্তিম ভাগে। মনে করা হয়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে দেশে ফিরতে থাকা সৈনিকদের হাত ধরেই ভারতে প্রবেশ করে স্প্যানিশ ফ্লু। বিবৃতিতে উল্লেখ আছে, "শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিজের উদ্যোগে পার্শ্ববর্তী গ্রামীণ অঞ্চলে গিয়ে সেখানকার মানুষদেরও যেন এই বিষয়ে অবগত করে"।

আরও পড়ুন:স্প্যানিশ ফ্লু: শতবর্ষে হঠাৎ প্রাসঙ্গিক ভারতের আরেক মহামারী

মানবসম্পদ মন্ত্রক একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য গবেষণা করার বিষয়ে উত্সাহিত করেছে।

প্রসঙ্গত, বর্ধিত লকডাউনের শেষ সপ্তাহে প্রবেশের সূচনাতেই দেশে করোনা পজেটিভের সংখ্যা ছাড়ল ২৬ হাজার। একদিনে করোনা আক্রান্ত ১,৯৯০ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকে দেওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে রবিবার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ২৬,৪৯৬ জন। তবে স্বস্তির বিষয় যে, এর মধ্যে ৫,৮০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অ্যাকটিভ রোগী ১৯,৮৬৮। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার বলি ৪৯ জন। সবমিলিয়ে দেশে করোনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮২৪ জন। মহারাষ্ট্র করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারপ, তারপরই রয়েছে গুজরাট।

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকের। শনিবার রাত একটা নাগাদ বাইপাস সংলগ্ন সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। গত ১৭ এপ্রিল কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের ওই শীর্ষ আধিকারিকের। ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডি-তে।

Read the full story in English

corona Lockdown
Advertisment