জুন মাসে বন্ধ থাকবে রাজ্যের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মাঝে চালিয়ে যেতে হবে প্রসাশনিক কাজ। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ৩০ জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল, এদিন এর পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার ঘোষণা করলেন মন্ত্রী। কিন্তু, এরই মাঝে সম্পন্ন হবে উচ্চমাধ্যমিক। এদিকে শনিবারই আনলকডাউন প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জুলাই মাসে পরিস্থিতি দেখে স্কুল কলেজ-সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতি ও সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবের জেরে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্য়ের বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ রাখার ব্য়াপারে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিলেন উপাচার্যরা। এরপরই রবিবার ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত বিভাগই বন্ধ থাকবে জুন মাসে। বিজ্ঞান, কলা ও সহ প্রতিটি বিভাগের পরীক্ষা ভিন্ন সময় হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুস্থতা।”
এ দিন শিক্ষামন্ত্রী উচ্চমাধ্যমিকের প্রসঙ্গে বলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পরে, ও নিজস্ব স্ট্যানিটাইজার নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। আমরা উচ্চ শিক্ষা সংসদের কাছে অনুরাধ করেছি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়ির কাছাকাছি করার ব্যবস্থা করা হোক। পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়নোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি স্কুলে ৮০ থেকে ১০০ জনের বেশি পরীক্ষার্থী রাখা সম্ভব নয়। পরীক্ষা চলাকালীন স্পর্শ এড়াতে ও দুরত্ব বজায় রাখতে পেন আদানপ্রদান করা যাবে না উল্লেখ করেন মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে কলেজেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার করার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
পার্থবাবু এ দিন জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রায় সাত হাজার স্কুল এবং কলেজে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়রান্টিন সেন্টার করা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একদিকে আমফান অন্যদিকে করোনা। গত ১০০ বছরে কোনও সরকার বা প্রশাসনকে এ রকম সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়নি।” তিনি আরও বলেন, লকডাউন কারণে কেন্দ্র যে নিয়ম জারি করেছে, সেগুলি পালন করতে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।