সাম্প্রতিক কালের টিনেজারদের মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু ২০১৯-এর উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম স্থানাধিকারী শোভন মন্ডল একেবারেই অন্যরকম। সে জানিয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন থেকে তথ্য নিয়ে নোটস বানাতাম, তবে কখনও সোশাল মিডিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হইনি।
২০১৯ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। প্রথম স্থান অধিকার করেছে বীরভূমের শোভন মন্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রথম মোট নম্বর থেকে ২ নম্বর কম পেয়ে প্রথম হয়েছে দুজন পরীক্ষার্থী।
কাটদীঘা গ্রামের ১৮ বছরের ছাত্র শোভন বীরভূম জেলা বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রতিদিন ত্রিশ কিলোমিটার অতিক্রম করে স্কুলে পৌঁছত । তাঁর প্রাপ্ত নম্বর, বাংলায় ১০০, অঙ্ক এবং রসায়নে ৯৯, ইংরেজিতে ৯৯.৫ , পদার্থবিদ্যা ও জীববিদ্যায় ৯৯.৫।
আরও পড়ুন: Live: উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হারে কলকাতা দ্বিতীয়
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলে শোভন জানিয়েছেন, "আমার সাফল্যের পিছনে রয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন সাহা ও অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও তারা আমায় পড়াশোনায় নানা ভাবে সাহায্য করেছে। পরীক্ষার মাস দুয়েক আগে স্কুল থেকে 'ডাউট ক্লিয়ারেন্সের' ক্লাস রাখা হয়েছিল। যা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় খুব সাহায্য করেছিল"।
নিট পরীক্ষায় ভালো ফলাফল আশা করছে শোভন। সে জানায়, "ডাক্তার হতে চাই, যদি নিটের ফলাফল ভালো না আসে তাহলে পরের বছর আবারও এআইআইএমএস এমবিবিএস এবং নিট পরীক্ষা দেব। এছাড়া আমি চাই কলকাতায় গিয়ে পড়াশনা করতে"।
আরও পড়ুন: রাজ্যে অনলাইনেই কলেজে ভর্তি হতে হবে, কিন্তু সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কী? জেনে নিন
শোভন বলেন, "দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম আমি। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বই ও অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে নোটস তৈরি করতাম। তবে আমার মনে হয়েছে অনলাইনে অনেক ভুল তথ্য রয়েছে, তাই সব সময় বই ছেড়ে অনলাইনের ওপর ভরসা করা উচিত নয়।
শোভনের বাবা সুভাষ কুমার মন্ডল একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। শোভন বললেন, "তবে বাবা কোনোদিনও সেভাবে আমাকে পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারেনি, কারণ আমরা যেখানে থাকি সেখান থেকে তার স্কুল অনেক দুরে"।
এবছর যুগ্ম প্রথম। কোচ বিহারের জেনকিনস স্কুল থেকে প্রথম হয়েছে রাজর্ষী বর্মন, তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Read thge full story in English