একের পর এক কল্যাণমূলক প্রকল্প। একটি স্থিতিশীল নয় বছরের সরকার। তেলেঙ্গানায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। ৩০ নভেম্বরের তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে এগুলোই ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতিকে (বিআরএস) ভরসা জোগাচ্ছে। আগে এই দলের নাম ছিল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস। সেটাই পরিবর্তন করে বিআরএস রাখা হয়েছে। কংগ্রেস এবং বিজেপি গুচ্ছেক অভিযোগ তুলেছে বিআরএসের বিরুদ্ধে। কিন্তু, তারপরও বিআরএসের দাবি, তারা জনপ্রত্যাশা পূরণ করেছে। মানুষ তাঁদের হতাশ করবে না।
আগে থেকেই মাঠে বিআরএস
বিধানসভা ভোটের জন্য বিআরএস ২১ আগস্ট থেকেই মাঠে নেমে পড়েছিল। দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর) ১১৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলেন ওই দিন। শেষ মুহূর্তের বিদ্রোহ এবং অসন্তোষের কথা মাথায় রেখে কয়েকটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে নাম ঘোষণার জন্য ওই সব আসনগুলোকে ছেড়ে রাখা হয়েছিল।
চলেছে লাগাতার প্রচার
শুধু প্রার্থী ঘোষণা করেই ক্ষান্ত হননি। কেসিআর ১৫ অক্টোবর থেকে তেলেঙ্গানাজুড়ে একটি প্রচারসূচিও ঘোষণা করেছিলেন। রাজ্যের ১১৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৯৭টিতে তিনি সভা করেছেন। তাঁর ছেলে এবং ভাগ্নে রাজ্যের মন্ত্রী কেটি রামা রাও ও টি হরিশ রাও শতাধিক সভায় বক্তৃতা করেছেন। তেলেঙ্গানার বিভিন্ন প্রান্তে তাঁরা মিছিল করেছেন। বিআরএস বিধায়ক এবং কেসিআর কন্যা কে কবিতা নভেম্বরের গোড়া থেকেই আবার নিজামবাদে, তাঁর নিজের এলাকায় লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন।
তেলেঙ্গানার জন্মদাতা কেসিআর
২০১৪ সালে তেলেঙ্গানা গঠিত হওয়ার পর থেকেই চন্দ্রশেখর রাও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে তিনি দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছিলেন। এই রাজ্য গঠনের দাবিতে দক্ষিণের অনেক যুবক আত্মাহুতি দিয়েছেন। তবে, তেলেঙ্গানা গঠন আন্দোলনের মূল নেতা ছিলেন কেসিআর। সেই কারণে তাঁকে তেলেঙ্গানা রাজ্যের জন্মদাতা বলা যায়। দক্ষিণের এই রাজ্যে ঘাঁটি গাড়তে চেষ্টার কসুর করছে না কংগ্রেস এবং বিজেপিও। এই পরিস্থিতিতে কেসিআর তেলেঙ্গানাবাসীকে টানা নির্বাচনী প্রচারে বুঝিয়েছেন, কেন কংগ্রেস এবং বিজেপির স্বার্থ তেলেঙ্গানার স্বার্থের চেয়ে আলাদা।
আরও পড়ুন- উত্তরকাশীর শ্রমিকদের জন্য কীভাবে বাধার পাহাড় পেরিয়েছেন উদ্ধারকারীরা, জানিয়েছেন এনডিআরএফ প্রধান
কংগ্রেস এবং বিজেপির প্রচার
এই নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস এবং বিজেপি তাদের হেভিওয়েট নেতাদের বিভিন্ন রাজ্য থেকে নিয়ে এসে তাঁদের দিয়ে তেলেঙ্গানায় লাগাতার প্রচার চালিয়েছে। বিজেপি আশাবাদী, তারা ভালো ফল করবে। আর কংগ্রেসের দাবি, তারা এই নির্বাচনে জয়ী হবে। এই পরিস্থিতিতে ৩০ নভেম্বর তেলেঙ্গানাবাসী ঠিক করবেন কেসিআরের ভাগ্য।