Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

কেন যেতেন আরএসএস শাখায়, স্মৃতিকথায় অকপট মিলিন্দ

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে মিলিন্দ সোমানের স্মৃতিকথা 'মেড ইন ইন্ডিয়া'। সেখানে তিনি লিখেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে তাঁর সংযোগের কথা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Milind Soman reveals RSS association in childhood

মিলিন্দ সোমানের ফাইল চিত্র ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

সুপারমডেল-অভিনেতা মিলিন্দ সোমান একটা সময় আরএসএস-একটি শাখার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই কথাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নেটিজেনদের মধ্য়ে প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রায় তিন দশকের কেরিয়ারে মিলিন্দ কখনওই কোনও ধর্মীয় সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েননি। আরএসএস কোনও নথিভুক্ত ধর্মীয় সংগঠন না হলেও এই সংগঠনের প্রচার পুস্তিকায় হিন্দু জাতীয়তাবাদকেই অনুসরণ করা হয়।

Advertisment

দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবং অতীতেও বহুবার সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রসঙ্গে বিভিন্ন মহল থেকে আরএসএস সমালোচিত হয়েছে। তাই মিলিন্দ সোমানের আরএসএস প্রাক্তনী হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্য়ে নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সোশাল মিডিয়ায় এবং তার বাইরেও।

আরও পড়ুন: ছেলেবেলার গাড়ি ফিরে পেলেন! উচ্ছ্বসিত বিগ বি

কিন্তু মিলিন্দ তাঁর সদ্য-প্রকাশিত স্মৃতিকথায় নিছক ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা হিসেবেই প্রসঙ্গটি এনেছেন। তিনি আরএসএস পর্বের কথায় আসার আগে এও বলেছেন যে কী কারণে তিনি কৈশোরে এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে মিলিন্দ স্পষ্ট করে দেন যে তাঁরা থাকতেন শিবাজী পার্কে এবং তাঁর বাবা মনে করতেন ছোটবেলা থেকেই শিশুদের একটা শৃঙ্খলাবোধ তৈরি হওয়া দরকার। পাশাপাশি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকাও প্রয়োজন।

ঠিক সেই কারণেই তিনি বাড়ির কাছের আরএসএস শাখার জুনিয়র ক্যাডার বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। এমন কথাই লিখেছেন তাঁর স্মৃতিকথায়। সেখানে তিনি এটাও লেখেন যে অনেক সময়েই তিনি লুকিয়ে পার্কের ঝোপে লুকিয়ে পড়তেন, কখনও লুকিয়ে পার্কের অন্য প্রান্তে গিয়ে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান দম্পতিকে সঙ্গে দিতেন।

''আজ আমি চারদিকে যা যা পড়ছি, আরএসএস শাখার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রচারের যোগসূত্র ইত্যাদি, সত্যিই মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে। আমার আরএসএস শাখার স্মৃতি হল এই, সপ্তাহে পাঁচদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা আমরা খাকি শর্ট পরে মার্চ করতাম, তার পরে একটু যোগব্যায়াম, কোনও আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই জিমন্যাশিয়ামে একটু ওয়ার্কআউট, গান গাওয়া আর সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ, যার একফোঁটা মানে বুঝতাম না আমরা কেউই। তা ছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে একটু খেলাধুলো'', লিখেছেন মিলিন্দ।

এই স্মৃতিকথাটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে পেঙ্গুইন থেকে।

RSS
Advertisment