চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রীতিমতো হতাশ বিরোধী শিবির। বর্তমানে বিরোধী শিবির বলতে 'ইন্ডিয়া' জোট। যার বৃহত্তম দল হল কংগ্রেস। মূলত সেই কংগ্রেসই রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশ- এই তিন রাজ্যে ধরাশায়ী হয়েছে। তার মধ্যে ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। আর, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে পারে, এমন সম্ভাবনা ছিল। যার ফলে, বিরোধী শিবিরে যে বড় ধাক্কা লেগেছে, সেকথা অস্বীকারের উপায় নেই। আর, এখানেই উঠছে বড় প্রশ্ন।
অনেক বিশ্লেষকই দাবি করছেন, কংগ্রেসের এই ধাক্কার পিছনে রয়েছে তার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজস্থানে অশোক গেহলটদের সঙ্গে শচীন পাইলটদের রাজনৈতিক কষাকষির কথা সকলেই জানেন। মধ্য়প্রদেশে তো জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন কমল নাথদের জন্য। এমনটাই অভিযোগ। পাশাপাশি, ছত্তিশগড়ে যে এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ নেই, তা-ও নয়। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এই সব কারণে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়তেই পারেনি। যার ফলে, এই ফলাফল প্রত্যাশিতই ছিল।
আর, তিনি কিন্তু অনেক আগেই সতর্ক করে গিয়েছিলেন। তাঁর ভাষায় বলেছিলেন, 'বহুভিমূর্খ সংঘাতৈ রন্যোন্য পশুবৃত্তিভিঃ। প্রচ্ছাদ্যন্তে গুণা রাজ্ঞো মেঘৈরিব রবেঃ করাঃ।' যার অর্থ হিংস্র পশু বা বন্যপ্রাণীদের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ লেগেই থাকে। নিজেদের মধ্যে হানাহানির কারণে একজন সেখানে আর একজন দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হন। অজ্ঞানতার কারণে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কলহ করে ও মারামারি করে আঘাত পায়। অনেক ক্ষেত্রে মারাও যায়।
আরও পড়ুন- ‘আপনাদের স্বপ্নই আমার সংকল্প, সাধনা, তপস্যা’, ২৪-এর লক্ষ্যে দেশবাসীকে বার্তা নমোর
মানুষের সমাজেও আমরা দেখতে পাই, মূর্খ ব্যক্তিরা নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য অজ্ঞানতাবশতঃ একে অপরের সঙ্গে কলহে লিপ্ত হয়ে পরস্পরের ক্ষতি করে। এর ফলে দেখা যায় যে, সমাজে মূর্খের সংখ্যা বেশি, সেখানে সমাজের কোনও উন্নতি হয় না। নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগছে, তিনি কে? তিনি আর কেউ নন কৌটিল্য চাণক্য। যাঁর নীতির কাছে আজও মাথা নুইয়ে আছে গোটা বিশ্ব। আর, বারবার তাঁর হাজার হাজার বছর আগে বলে যাওয়া নীতিবাক্যগুলো মিলিয়ে দেখছে, আজও তা ঠিক কতটা প্রাসঙ্গিক।