/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/Yogi-Adityanath.jpg)
যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল ছবি
১৯৮৫-র পর ফের ২০২২। ৩৭ বছর পর উত্তরপ্রদেশের ভোটে পর পর দু'বার জয় পেল একই দল। ১৯৮৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নারায়ণ দত্ত তিওয়ারির নেতৃত্বে পর পর দু'বার উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা দখল করেছিল কংগ্রেস। আর এবার যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে অসাধ্য সাধান করে নজির গড়ল পদ্ম বাহিনী। ২০১৭-র পর ফের উত্তরপ্রদেশের মসনদে বিজেপি। মোদী-শাহ ম্যাজিক তো ছিলই। কিন্তু এবার দেশের সবচেয়ে বৃহথ রাজ্যে জয়ের নেপথ্যে গোরক্ষপুর মঠের প্রধান পুরোহিত যোগীরও অবদান কম নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোটের আগেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে দল ছেড়েছিলেন একাধিক গেরুয়া মন্ত্রী, বিধায়ক। ছিল কৃষক আন্দলনের ভ্রুকুটিও। যার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। কিন্তু, সেসব কার্যত খড়কুটো হয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের ভোটে। ৪০৩টির মধ্যে ২৭৪টিতেই এগিয়ে বিজেপি।
সস্তার বিদ্যুৎ, চুক্তি কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ, সহকারী শিক্ষক হিসাবে শিক্ষামিত্রদের পুনরায় নিয়োগ এবং পুরানো পেনশন বাস্তবায়নের মতো বড় নির্বাচনী ঘোষণাগুতে তো ছিলই। তার সঙ্গেই যোগীর জয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড গঠন, মাফিয়া রাজের অবসান, সিএএ বিরোধী আন্দলনকারীদের থেকে সরকারি সম্পতি ভাঙচুরের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় ও ঠোকো নীতি (অনকাউন্টার পলিসি)। এইগুলি সবকটি বিরোধীদের দ্বারা সমালোচিত হলেও ভোটাররা যোগী সরাকারের এসব নীতিতেই যে আস্থা দেখিয়েছেন তা এনিদেন রায় থেকে স্পষ্ট।
করোনাকালে যোগী সরকারের ভূমিকা সর্বত্র সমালোচিত হয়েছিল। তবে তার কোনও রেশ ইভিএমে পড়েনি। করোনাকাল থেকে বিজেপি সরকার দরিদ্র পরিবারগুলির কাছে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করেছে। যা গ্রাম-গঞ্জের মানুষের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান যোজনার আওতায় প্রতি বছর ছোট কৃষকদের ছয় হাজার টাকা দেওয়া হয়। যার বড় প্রভাব পড়েছে ভোটের ময়দানে, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
যোগীকে ঠাকুরপন্থী বলে দেগে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ভোটের আগে ব্রাহ্মণদের মন জিততে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল গেরুয়া শিবির। আর তাতেই বাজি মাত হয়েছে। হিন্দুদের উচ্চবর্ণের ভোটও গিয়েছে পদ্মের ঝুলিতে।
যোগীকে নিয়ে ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও মোদী-শাহ-রা যোগীকে নিজেদের লোক বলে প্রমাণে মরিয়া ছিলেন। ফলে পথের কাঁটা অনায়াসেই দূর হয়ে ফের উত্তরপ্রদেশের মসনদে বসেছেন যোগী আদিত্যনাথই।
পর পর পাঁচবারের সাংসদ। তাঁর হাত ধরেই নজির গড়ে ফের উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হল বিজেপির। বিজেপি এখন তাই যোগীময়।
Read in English