ধর্মনিরপেক্ষ গণপ্রজাতন্ত্রীরাষ্ট্র। কিন্তু, সেই রাষ্ট্রেই প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। সম্প্রতি সেই অত্যাচার বেড়েছে বলেই অভিযোগ বাংলাদেশের হিন্দুদের। কখনও সেখানে হিন্দুদের জমি জোর করে দখল করে নেওয়া হচ্ছে। কখনও হিন্দু মহিলাদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। কখনও আবার হিন্দুদের মন্দির থেকে প্রতিমা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বেছে বেছে হিন্দু শিক্ষক থেকে সরকারি কর্মীদের ওপরও হামলা হচ্ছে সেদেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে হিন্দু ছাত্রকে মারধর গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশের নড়াইলে সংঘটিত ভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও, জামাত-ই-ইসলামি বা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টি নয়। এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের ক্ষমতাসীন নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই। যে আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নন, তিনি বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মেয়েও। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি ঘটনার সময় পুলিশ আক্রান্তদের কোনও সাহায্য করেনি। হয়, নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। অথবা, হামলকারীদের ইশারায় কাজ করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুক্ত থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন বারবারই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বহু হিন্দুও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সেনাকে হারাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীও যুদ্ধে নেমে বাংলাদেশবাসীকে সাহায্য করেছে। পরবর্তী সময়েও মৌলবাদীদের দাপটে হাসিনা যখনই বিপদে পড়েছেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সেই বাংলাদেশেই তাহলে হিন্দুদের ওপর হামলা কেন?
আরও পড়ুন- মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হোটেলে গণধর্ষিতা বছর ২১-এর মার্কিন যুবতী
এই প্রশ্ন তুলে বুধবার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। এর আগে বিশ্ব হিন্দু পরিবার-সহ সংঘ পরিবারের অন্যান্য সংগঠন বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। এবার কলকাতার ৯, সার্কাস এভিনিউ, লোয়ার রেঞ্জের ঠিকানায় কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী, বিজেপির কলকাতা উত্তরের সভাপতি কল্যাণ চৌবে, কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলা বিজেপির সভাপতি অরিজিৎ বক্সি, রাজ্য বিজেপির দুই সম্পাদক উমেশ রাই ও দীপাঞ্জন গুহ-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।