Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে একধাক্কায় অনেক কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু। একদিনে আক্রান্ত প্রায় ১৫ হাজার (১৪,৯৩৮), মৃত ৩৬। তিন দিন ধরেই দৈনিক সংক্রমণের নিম্নমুখী গ্রাফ দেখেছে রাজ্য। রবিবারও তার অন্যথা হল না। পাশাপাশি রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯৯৭৩, সুস্থতার হার ৯০%-এর কিছু বেশি। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় সংক্রমণ ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি। কমেছে পজিটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার। এই মুহূর্তে রাজ্যে আক্রান্তের হার ২৭.৭৩%।
এদিকে জেলাভিত্তিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। তারপরেই উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। শহরে একদিনে মৃত ১১।
ওমিক্রনই অতিমারীর শেষ প্রজাতি নয়। পিছনে দাঁড়িয়ে করোনার একাধিক গ্রিক অক্ষরের প্রজাতি।সম্প্রতি এই দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, ‘অতিমারীকালে প্রতি সংক্রমণ সংশ্লিষ্ট ভাইরাসকে মিউটেট করতে সাহায্য করে। তাই ওমিক্রনও এই মুহূর্তে তার উত্তরসূরির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।‘ সেই মিউটেট প্রজাতি আরও বেশি সংক্রামক-সহ শরীর খারাপ ও ভ্যাকসিন প্রতিরোধীর কারণ হবে।
অর্থাৎ যত বেশি মানুষ সংক্রমিত হবে, তত বেশি ভাইরাস মিউটেট করবে। তবে সেই প্রজাতি দেখতে কেমন কিংবা কতটা তার ক্ষমতা হবে? এই উত্তর জবাব দিতে পারেনি গবেষকরা। কিন্তু তাঁদের অনুমান, পরবর্তী প্রজাতির জন্য মৃদু উপসর্গ দেখা দেবে কিংবা চলতি টিকা কাজ দেবে। এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
এই প্রসঙ্গে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক ব্যাধির গবেষক লিওনার্দো মার্টিনেজ বলেন, ‘যত দ্রুত ওমিক্রন ছড়াবে, তত মিউটেট করবে। আরও বেশি প্রজাতি সামনে আসবে।‘ গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের হদিশ মিললেও, গত দুই মাসে দাবানলের মতো গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে এই প্রজাতি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডেল্টার থেকে দুই গুণ এবং করোনার আদিম প্রজাতি থেকে চার গুণ সংক্রামক ওমিক্রন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন