দেশ ছাড়িয়ে করোনা আতঙ্ক ইতিমধ্যেই গ্রাস করেছে রাজ্যকে। সৌদি আরব থেকে আসা মুর্শিদাবাদের এক যুবকের মৃত্যুর পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। যেভাবে একের পর এক রাজ্যে করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত সেই আবহে আগাম সর্তকতা হিসেবে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনে তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু হল বহরমপুরের পুরনো মাতৃসদন হাসপাতালে।
রাজ্যে করোনা ঠেকাতে ইতিমধ্যেই একাধিক সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। প্রশাসনিক বৈঠক করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল মঞ্জু ব্যানার্জি বলেন, "রাজ্য সরকারের কাছ থেকে একটি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নির্দেশিকা আসে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড রেডি রাখার জন্য। সেই মতো এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ওয়ার্ড মূলত আক্রান্ত রোগীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে তা নয়, করোনা ভাইরাস সন্দেহে কেউ চিকিৎসাধীন হলে তাঁর সংস্পর্শে থাকা পরিবারের লোকজনদেরও রাখা হতে পারে এখানে।"
আরও পড়ুন: করোনা কাঁপুনি: সোমবার থেকে বন্ধ বাংলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে প্রচুর শ্রমিক ভিনরাজ্যে কর্মরত রয়েছেন। করোনা আবহে তাঁদের অনেকেই ফিরে আসছেন নিজের জেলায়। সেই পরিস্থিতিতে কোনভাবেই যাতে এই মারণ ভাইরাস না ছড়ায় তার জন্যেই এই আপৎকালীন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এমনকী পড়শি মহকুমা জঙ্গীপুর মহকুমা হাসপাতালে ৩ শয্যাবিশিষ্ট এবং ডোমকল সুপারস্পেশালিটি মহকুমা হাসপাতালে ৮ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার জের, ভিডিও কলেই বাবার শেষকৃত্য দেখলেন কাতার ফেরত ছেলে
প্রসঙ্গত, গত রবিবার মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পলাশপুর গ্রামের বাসিন্দা সৌদি আরবের রিয়াধ থেকে ফেরত এক যুবকের মৃত্যুতে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। যদিও নাইসেডে পাঠানো রক্তের ও লালারসের নমুনা পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় করোনা ভাইরাস আক্রমণের নয়, জিনারুল হকের মৃত্যু ঘটেছে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে। তবেন এরপরেও করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক এতটুকুও কমেনি জেলাজুড়ে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, "আপাতত আমাদের জেলাতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের কোন খবর না থাকলেও আগাম সর্তকতা নিতেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরীর নতুন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ এসে পৌঁছেছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন