মধ্যযুগীয় বর্বরতা! বিবস্ত্র অবস্থায় গৃহবধূ ও যুবককে দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে বেধড়ক মার। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে মারধর। সোশ্যাল মিডিয়ায মারধরের ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় সর্বত্র। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কড়া পদক্ষেপ পুলিশেরও। মারধরে জড়িত বারো জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য অভিযুক্তদের খোঁজেও জারি রয়েছে তল্লাশি।
তালিবানি কায়দায় অকথ্য অত্যাচার। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলপির এক বধূ ও এক যুবককে বেধড়ক মারধর শ্বশুরবাড়ির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিবস্ত্র করে ওই গৃহবধূ ও যুবককে একসঙ্গে দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে চলে মারধর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের ওই গৃহবধূর সঙ্গে আলাপ হয় ওই যুবকের। মহিলার স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করেন। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, ওই যুবকের সঙ্গে গৃহবধূকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতের আগে ফের রক্তাক্ত বীরভূম, বোমার বলি তৃণমূলকর্মী, জখম প্রধানের ভাই
তার পরেই বধূকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও এলাকার বাসিন্দারা টেনে হিঁচড়ে একটি গাছের কাছে নিয়ে যায়। একইসঙ্গে ওই যুবককেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। এরপর দুজনকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে চলে বেধড়ক মার। মারধরের এই মুহূর্ত কয়েকজন ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূ ও যুবককে উদ্ধার করে কুলপি থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া রয়েছেন ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ। তবে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে ছাপিয়ে যাবে কুলপির এই ঘটনা।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি ভাস্কর মুখার্জি জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার রাত পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে কুলপি থানার পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজনের খোঁজ করেছে পুলিশ।