মমতা মন্ত্রিসভায় রদবদল হল। মন্ত্রিসভায় এলেন ৮ নয়া মন্ত্রী। এঁদের মধ্যে ৪ জন পূর্ণমন্ত্রী। বীরবাহা হাঁসদা ছিলেন প্রতিমন্ত্রী, এদিন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী পদে শপথ নেন।
একনজরে মমতার মন্ত্রিসভার নয়া সদস্যরা-
স্নেহাশিস চক্রবর্তী (পূর্ণমন্ত্রী)
স্নেহাশিস চক্রবর্তী হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক। এর আগে তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন তিনি। দলের হয়ে বিভিন্ন টিভি-শোতে বিতর্কে অংশ নেন তিনি। এবার তাঁকেই মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী হয়ে স্নাহাশিস বলেন, 'সংগঠনে নেত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তা করেছি। এবার প্রশাসনের দায়িত্বে আনলেন উনি। যে দায়িত্ব থাকবে সেটা পালন করব। উন্নয়ের কাজ করব।'
বাবুল সুপ্রিয় (পূর্ণমন্ত্রী)
মোদী মন্ত্রিসভায় ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। পরে বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর উপনির্বাচনে জেতেন বালিগঞ্জ থেকে। এবার সেই বাবুলই মমতা মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বে। বাবুল বলেন, 'খুব ভাল লাগছে। দিদি আমার গত অগাস্টের ভগ্ন হৃদয়ে মলম দিলেন। আজ আমি খুব খুশি। মমতাদি যেভাবে বলবেন সেভাবেই কাজ করব।'
উদয়ন গুহ (পূর্ণমন্ত্রী)
উপনির্বাচনে দিনহাটা কেন্দ্র থেকে রেক্রড ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন উদয়ন গুহ। এবার তাঁকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নেওয়ার পর উদন গুহ বলেন, 'আলাদা অনুভূতি। বাবা বামফ্রন্ট্রের মন্ত্রী ছিলেন ২০ বছর, এবার আমি হলাম। মুখ্যমন্ত্রী আস্থা রেকেছেন, তাঁর বিশ্বাসের যোগ্য মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব। চ্যালেঞ্জ এলে তা মোকাবিলা করব।'
পার্থ ভৌমিক (পূর্ণমন্ত্রী)
নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক গত কয়েক বছরে ব্যারাকপুরে লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের স্বম্ভ হয়ে উঠেছেন। শিল্পাঞ্চলে দলের জয়েও তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেছে শাসক শিবির। এরপরই পার্থকে মন্ত্রি করা হল। পার্থ ভৌমিক বলেন, 'দলনেত্রীর নির্দেশ পালন করব। মা, মাটি, মানুষের উন্নয়নে আরও গতিশীল মন্ত্রিসভা হল। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করেন, যান সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুই নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলা দেশের সেরা হওয়ার লক্ষ্যে এগোবে।'
প্রদীপ মজুমদার (পূর্ণমন্ত্রী)
দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী কৃষি উপদেষ্টা ছিলেন দীর্ঘ দিন। এবার তাঁকেই পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বে আনা হল। শপথের পর তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মস্তিষ্কপ্রসূত সব কাজ আমরা রূপায়ণের চেষ্টা করেছি। তাতে মানুষ উপকৃত হয়েছেন। সেই কাজই এবার আরও দায়িত্বের সঙ্গে পালন করতে পারব।'
বীরবাহা হাঁসদা (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী)
ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র থেকে একুশের ভোটে জোড়-ফুল টিকিটে জয় পেয়েই রাজ্যের বন-দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন বীরবাহা হাঁসদা। এ দিন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিনি। বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মনে করেছিলেন তাই প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দায়িত্বে তুলে এনেছেন। কাজের দায়িত্ব আরও বাড়ল। মন, প্রণা দিয়ে কাজ করতে চাই।'
বিপ্লব রায় চৌধুরী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী)
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পূর্ব পাঁশকুড়ার বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী হলেন মমতা মন্ত্রিসভার স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। বর্তমানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন তৃণমূলের এই প্রবীণ বিধায়ক। মন্ত্রী হয়েই বিপ্লব বলেন, 'চ্যালেঞ্ডের কাজ পেয়েছি, করে দেখাতে হবে। আশা করি মন্ত্রিসভার কাজ আরও সুচারুভাবে হবে।'
তাজমুল হোসেন (প্রতিমন্ত্রী)
প্রতিমন্ত্রী দায়িত্বে আনা হল মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেনকে।
সত্যজিৎ বর্মন (প্রতিমন্ত্রী)
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ বিধানসভার বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন হলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী।