Post Poll Violence: লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ঘরছাড়া বহু কর্মী এবং তাঁদের পরিবার। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে দুর্গাপুজো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়ার আর্জি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা রবিবার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে গিয়েই সি ভি আনন্দ বোসের কাছে তিনি নালিশ করেন, সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূলের গুন্ডারা। এর পর তিনি আর্জি জানান, দয়া করে বাংলাকে বাঁচান।
গত বৃহস্পতিবারও একই কর্মসূচি ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু পুলিশি বাধায় সেদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। আজ, রবিবার তিনি যে রাজভবনে যাবেন তা তিনি জানিয়েছিলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি আক্রান্তদের নিয়ে পৌঁছে যান। রবিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের ভিতরে শুভেন্দুকে দেখা যায় আক্রান্ত কর্মীদের ছবি বুকে নিয়ে বসে থাকতে। আক্রান্তদের নামের তালিকা মিলিয়ে ঢোকানো হয় রাজভবনে। তাঁদের উদ্দেশে রাজ্যপাল জানান, মোট ১০২৫টি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তিনি এদিন বলেন, হিংসার শেষ দেখে ছাড়বেন।
রাজ্যপাল শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বলেন, 'আমি নেতাজির নামে, রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দের নামে শপথ করে বলছি, শেষপর্যন্ত লড়াই করব। আক্রান্তরা আমার সঙ্গে দেখা করবে, ততক্ষণ স্বরাষ্ট্র দফতরের কেউ দেখা করতে পারবেন না।' শুভেন্দু তাঁর দলের কর্মীদের উপর হিংসার ঘটনার বিবরণ দেন রাজ্যপালকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে দুর্গাপুজো পর্যন্ত রাজ্যে থাকে সেই আর্জি জানান রাজ্যপালের কাছে।
আরও পড়ুন Suvendu Adhikari-BJP: শুভেন্দুর হল কী? দিলীপরা কথা সারলেও কোর কমিটির বৈঠকে গেলেনই না বিরোধী দলনেতা
রাজভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'রাজ্যপালকে বলেছি বাংলায় গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভই আক্রান্ত। পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের রেশন কার্ড নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গবাদি পশু পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে।' উল্লেখ্য, শনিবারই আক্রান্তদের দেখতে কোচবিহারে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই তিনি জানান, কলকাতায় ফিরে রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন।