কেন্দ্রের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো বাতিল ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না কলকাতা হাইকোর্ট। 'আর মাত্র একদিন পরেই প্রজাতন্ত্র দিবস, মামলা দায়েরে অনেক দেরি হয়েছে। এখন আর কিছুই করার নেই।'' মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ উচ্চ আদালতের। উল্লেখ্য, দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কেন বাংলার নেতাজি-ট্যাবলো অনুমোদন পেল না, তা জানতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। জরুরি ভিত্তিতে এদিনই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তবে শেষ মুহূর্তে এসে আর এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চায় না উচ্চ আদালত।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে এবার পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই শোরগোল তুঙ্গে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ট্যাবলোর অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন।
এমনকী বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ও প্রধানমন্ত্রীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলার ট্যাবলোকে অনুমোদন দিতে আবেদন করেছিলেন। তাতেও কাজ হয়নি। উল্লেখ্য, এবছর বাংলার এই ট্যাবলোয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বীরত্বের নানা কাহিনী তুলে ধরা হয়েছিল।
কেন্দ্র কেন বাংলার ট্যাবলোকে অনুমোদন দিল না তা জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। আজই সেই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল। এদিন হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল বলেন, ''কেন্দ্রের বর্তমান সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল। সরকার সবসময় নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এবার ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির মূর্তি বসানোর ঘোষণাও করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বরং এর আগের সরকারের আমলেই নেতাজিকে অবহেলা করা হয়েছে।''
আরও পড়ুন- স্নাতকোত্তরে আসন বৃদ্ধির দাবি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ
এদিন আদালতে এই সওয়াল-জবাব শেষে ট্যাবলো ইস্যুতে হস্তক্ষেপ না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এত অল্প সময়ের মধ্যে এব্যাপারে কিছুই করার নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে উচ্চ আদালত।