/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/download-1.jpg)
"দিদিকে বলো"-র পর এবার সেই ধাঁচে চালু করা হল "ডক্টরস পোর্টাল"। তবে ফোন নম্বর নয়, পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরে মারধর-ভাঙচুরের অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যের ডাক্তার ও চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। কোনোভাবে ডাক্তার রোগীর পরিবার বা অন্য কোনো ব্যক্তির দ্বারা আক্রান্ত হলে অনলাইন মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
ডাক্তারদের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন, এমনটাই জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে। পাশাপাশি এই পোর্টালে অভিযোগকারী ডাক্তার বা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ জানতে পারবেন মামলা কোন পর্যায়ে রয়েছে, এবং কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মামলা কোন পর্যায়ে রয়েছে সে সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য অনলাইনে আপডেটও করা যাবে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/doctor-portal-2-1.jpg)
আরও পড়ুন: একনজরে এনআরএস কাণ্ড
প্রসঙ্গত, এমন উদ্যোগ এই মুহূর্তে দেশের অন্য কোনো রাজ্যে নেই। সুতরাং এই ধরনের অনলাইন পোর্টাল চালু করে নজির স্থাপন করলো রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এই পোর্টালে অভিযোগ জানাতে পারবেন। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা ঘোষণা করা হয়েছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/doctor-portal-1.jpg)
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন নবান্নে জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেক্ষিত ছিল এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের ওপর প্রাণঘাতী হামলা এবং তার জেরে রাজ্যে অভূতপূর্ব চিকিৎসা ধর্মঘট। সেদিন মূলত রাজ্যের ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের সেদিন সব ব্যাপারেই বরাভয় দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেই আলোচনার দু'মাসের মধ্যে চালু করা হলো এই পোর্টাল।
পোর্টালের লিঙ্ক: www.home.wb.gov.in/doctorportal.php
www.hha.wb.com/complaintlog/cladmin
এই দুটি লিঙ্কে গিয়ে নিজের মেইল আইডি দিয়ে রেজিস্টার করতে হবে।
এছাড়াও উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই এনআরএস ডাক্তার নিগ্রহকাণ্ডে গ্রেফতার হয় দুই অভিযুক্ত। ধৃতদের নাম শেখ তাবির ও নজিমউদ্দিন। দুজনেই ট্যাংরা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়। এর আগেও এই ঘটনায় পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ, তবে আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিতে না পারায় তাদের জামিনে মুক্তি হয়ে যায়। এরপরই ফের প্রতিবাদে সরব হন এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ভাববেন তাঁরা। এরপরই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এন্টালি থানার পুলিশ।