এবার দিদির দূত সাংসদ শতাব্দী রায়ের কাছে স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আবদার করলেন এক গৃহবধূ! অসহায় ওই গৃহবধূর আবদার শুনেই থমকে যান সাংসদ। সব শুনে ওই গৃহবধূকে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বীরভূমের সাংসদ।
বৃহস্পতিবার দিদির দূত হয়ে নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের পাইকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়। গ্রাম ঘুরে শতাব্দী রায় পৌঁছে যান নলহাটি আশ্রমপাড়া বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে। সংসদকে দেখেই পাইকপাড়া গ্রামের কামারপাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূ দীপ্তি মণ্ডল শতাব্দী রায়ের দিকে কাঁদতে কাঁদতে এগিয়ে আসেন। সাংসদকে হাতের কাছে পেয়ে সটান তাঁর স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানান। সাংসদ এসেছিলেন 'দিদির দূত' হয়ে মানুষের অভিযোগের কথা শুনতে। কিন্তু স্বামী খুঁজেজে দেওয়ার আবেদনে রীতিমত চমকে যান শতাব্দীদেবী।
স্থানীয়সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূর স্বামী শ্রীকান্ত মণ্ডল বছর দুয়েক আগে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর পর থেকে এক ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই রয়েছেন দীপ্তি মণ্ডল। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির জমির ফসল ঠিক মতো না মেলায় চরম অভাবে দিন কাটছে তাঁর।
দিপ্তী মণ্ডল সাংসদ শতাব্দী রায়কেকে বলেন, "বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতেই রয়েছি। স্বামী একটি হোটেলে কাজ করত। আগে মাঝে মধ্যেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেত। আবার ফিরে আসত। ওর স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। তবুও বেঁচে থাকার জন্য স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।"
জবাবে সাংসদ শতাব্দী বলেন, “ওকে খুঁজে দিলে আবার তো পালিয়ে যাবে। তাছাড়া নিজেই বলছেন চরিত্র ভালো নয়। তাহলে ওই স্বামীর সঙ্গে ঘর করবেন কিভাবে?” এরপরও গৃহবধূ নিজের আর্জিতেই অনড় থাকেন। মহিলার কাতর আবেদনে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সভাপতি পিন্টু সিংকে দায়িত্ব দেন শতাব্দী। অনুরোধ করেন ওই মহিলাকে নিয়ে থানার বড়বাবুর সঙ্গে কথা বলে স্বামীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করার।
পরে সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাংসদ বলেছেন, “ওই গৃহবধূ স্বামীকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। তা না হলে চরিত্রহীন স্বামীকে নিয়ে কীভাবে সংসার করবেন? গৃহবধূ বলেছেন ওনার স্বামী বিভিন্ন জনকে ফোন করছেন। আমি পিন্টু সিংকে বলেছি ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ট্র্যাক করে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন।"