বাড়ছে ওমিক্রন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে মাত্র এক সপ্তাহে ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা। আর এই ওমিক্রনের হাত ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছড়ে পড়তে পারে ওমিক্রনে দ্বিতীয় ঢেউ। এমন আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছে।একের পর এক ঢেউ সামলে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে জনজীবন তার মাঝেই বাড়ছে উদ্বেগ। চিন সেই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে ৪ লক্ষের বেশি মানুষ একদিনে মারণ ভাইরাসের স্বীকার। এই অবস্থায় বিশ্বের সমস্ত দেশকে সতর্ক করল হু (WHO)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র, উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।
গত এক সপ্তাহে তা ফের হুড়মুড় করে বাড়তে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, এর পেছনে রয়েছে ওমিক্রনের (Omicron) অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট বিএ.১ এবং বিএ.২। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্তার বক্তব্য, “বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে বাড়াবাড়ি সংক্রমণ শুরু হয়েছে, একইসঙ্গে পর্যাপ্ত কোভিড পরীক্ষাও হচ্ছে না। অর্থাৎ, যে পরিস্থিতি আমরা দেখছি মহামারীর প্রকৃত অবস্থা তারচেয়েও ভয়াবহ।”
আরো পড়ুন: ফের করোনার ভ্রূকুটি, কলেজে না ফিরতে পেরে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় হাজার হাজার মেডিকেল পড়ুয়া
ইতিমধ্যেই ওমিক্রন তার দাপট দেখাতে শুরু করেছে ইউরোপের একাধিক দেশে। ইতিমধ্যেই অনেক দেশ সংক্রমণ কম হওয়ার কারণে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। আর সেই সুযোগেই ওমিক্রন বিস্তার লাভ করেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া সহ কিছু দেশের পরিস্থিতি সংকটজনক। সেখানে রোজই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজি এবং মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ ওয়াফা এল-সদর বলেছেন এখনই সতর্ক হতে হবে মানুষকে না হলে ফের একটা ওমিক্রন ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে। বিএ.১ ভাইরাস মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে মাথাব্যথার প্রধান কারণ হিসাবে উঠে এসেছে। তার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বিএ.২, যার ফলে সংক্রমণ হার আগের থেকে অনেক বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এল-সদর বলেছে মার্কিন নাগরিকদের টিকার জন্য উৎসাহিত করা গুরুত্বপূর্ণ। "এটি আমাদের পরবর্তী ঢেউ থেকে রক্ষা করবে,"
Read full story in English