দীর্ঘ ৫৯ বছর পর মতবদল রাষ্ট্রসংঘের। সৌজন্যে গাঁজা। এতদিন বিপজ্জনক মাদকের তালিকায় রাষ্ট্রসংঘ গাঁজা-চরসকে রেখেছিল। শুধু তাই নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এর ব্যবহারে ছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এবার গাঁজা-চরসকেই বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে সরানোর প্রস্তাব পেশ হল রাষ্ট্রসংঘে। ৫৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ২৭টি পক্ষে সায় দিল। উল্লেখযোগ্য ভাবে সেই তালিকায় ভারতও রয়েছে।
বুধবার রাষ্ট্রসংঘের মাদক বিষয়ক কমিশনের ৬৩তম অধিবেশনে ভোটাভুটি হয় এই বিষয়ে। ভারত-সহ আমেরিকা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশই বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে গাঁজা ও চরসকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সায় দেয়। বিপক্ষে ছিল ২৫টি দেশ। যাদের মধ্যে অন্যতম হল চিন, রাশিয়া ও পাকিস্তান। আর একমাত্র দেশ হিসাবে ইউক্রেন কোনও দিকে মত প্রদান করেনি। রাষ্ট্রসংঘ একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৯৬১ সালের নিষিদ্ধ মাদকের সিঙ্গল কনভেনশনের চতুর্থ তফসিলি থেকে গাঁজাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
আরও পড়ুন ইতিহাসে প্রথমবার, TIME ম্যাগাজিনের কভারে ইন্দো-মার্কিন ‘বিস্ময় কিশোরী’
এই ভোটাভুটিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। তার কারণ, এতদিন যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা এবার উঠে যাওয়ায় এই মাদকগুলি ওষুধ তৈরিতে ব্যবহারের রাস্তা খুলে গেল। ভারত পক্ষে সায় দিলেও এ দেশে এখনও গাঁজা উৎপাদন করা এবং নিজের কাছে রাখা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রাষ্ট্রসংঘের বিপজ্জনক মাদকের তালিকা নিয়ে ৬টি প্রস্তাব দেয়। তার মধ্যে অন্যতম ছিল গাঁজা ও চরসকে বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব। মার্চ মাসে সেই প্রস্তাব পেশ করা হয় রাষ্ট্রসংঘের মাদক বিষয়ক কমিশনের সামনে। কিন্তু সদস্য দেশগুলিকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ভোটাভুটিতে এতদিন আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে বুধবার সেই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন