"দেশের সংবিধানে কোথাও লেখা নেই যে ভারতে মুসলিমদের জন্য কোনও জায়গা নেই। কোথাও বলা নেই যে, এদেশে থাকতে হলে হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ বলে মেনে নিতে হবে।"
"হিন্দু বিরোধিতা যত বেশি করবে তত বেশি করে থাকা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছে। হিন্দু বিরোধিতা করাটাই স্টান্ড...।"
নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সার্বিকভাবে খুশি আরএসএস। যদিও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন ভারতে ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে আপত্তি জানান হয়েছে।
কোনও 'ভেদাভেদ না করে' সকলকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিতে রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সংঘের কর্মীদের নির্দেশ দিলেন আরএসএস প্রধান।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে মিলিন্দ সোমানের স্মৃতিকথা 'মেড ইন ইন্ডিয়া'। সেখানে তিনি লিখেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে তাঁর সংযোগের কথা।
'হিন্দু' ও 'হিন্দুত্বে'র পক্ষে কথা মানেই 'সাম্প্রদায়িক' বলে মনে করেন না আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ভাইয়াজি যোশি।
"দভিন্দর সিংয়ের বদলে ওই ডিএসপি র নাম যদি দভিন্দর খান হতো, তাহলে রাষ্ট্রীয় আরএসএসের ট্রোল বাহিনীর আক্রমণ আরও তীব্র ও জবরদস্ত হতো।"
এমনকী বুধবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে মোহন ভাগবত বলেন, "রবীন্দ্রনাথ তাঁর স্বদেশী সমাজে লিখেছেন হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে কিছু সহজাত বিরোধ থাকলেও দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে হিন্দু সমাজ হিন্দু উপায়েই সমাধানের পথ খুঁজে দিতে সক্ষম।
এবার কী তাহলে তাদের নজরে কাশী মথুরা? সংঘ পরিবারের এক নেতার কথায় জানা গেল আপাতত এই ধরণের কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের।
আরএসএস, বিজেপি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে মন্দির নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল।
হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে আশাপ্রদ ফল করতে পারেনি বিজেপি। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আরসিইপিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।
তাহলে কি বামেদের দুর্লঙ্ঘ্য সংগঠনের চাপেই তেমন জল-হাওয়া জোটাতে পারেনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ? আর তৃণমূল শাসিত এই রাজ্যে সুযোগ পেয়েই স্বমূর্তি ধারণ করেছে সংঘ, উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশ জানিয়েছে শুক্রবার যখন কমলেশ তিওয়ারিকে হত্যা করা হয়, সেই সময় সেই বাড়িতেই ছিলেন সুরক্ষাকর্মী। কিন্তু পুলিশের এই বক্তব্য মানতে নারাজ কমলেশ পুত্রের।
"শিখ কারা সে নিয়ে বলার জন্য শিখদের বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা কারা সে কথা বলার জন্য আমাদের কোনও বাইরের লোক দরকার নেই... আমরা আরএসএস-এর হিন্দু রাষ্ট্রের অংশ নই।"
নাগরিকপঞ্জিকে কেন্দ্র করে ওঠা বিতর্ক প্রসঙ্গে সুরেশ ভাইয়াজি যোশীর বক্তব্য, "শুধুমাত্র আসাম নয়, সরকারকে অবশ্যই পুরো দেশের জন্য একটি এনআরসি পরিকল্পনা করতে হবে।"
বিজেপি বা আরএসএস কেউই চায় না, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক- যে কোনও স্তরেই অন্য কোনও সংগঠন হিন্দুত্বের আদর্শের রাজনীতিতে ভাগ বসাক।
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন,"রামকৃষ্ণ দেবের কাছে অর্থ, শিক্ষা, তথাকথিত ডিগ্রি ছিল না। কিন্তু তাঁর মাহাত্ম্য তাঁর ত্যাগে।"
