প্রেসিডেন্সিতে ক্লাস রিপ্রেসেন্টেটিভ (সিআর) নির্বাচনে একক বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন হতে চলেছে এসএফআই। খুব পিছিয়ে নেই স্বাধীনচেতা ছাত্রদের সংগঠন আইসি। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছে প্রেসিডেন্সির নির্বাচনে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সেখানে খাতাই খুলতে পারেনি টিএমসিপি। তবে শাসক দলের একাংশের আবার দাবি, তাঁদের পাঁচ প্রার্থী ক্লাস রিপ্রেসেন্টেটিভ নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি আসনে জিতেছিল টিএমসিপি।
এবারের নির্বাচনে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ (সিআর)-এর আসন সংখ্যা ছিল ১১৬টি। এই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগাম জিতে ছিলেন ২৯ জন প্রার্থী। বাকি সিআর আসন এবং পাঁচটি বিশেষ পদের জন্য এদিন ভোটদানে অংশগ্রহণ করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। এদিন সন্ধে পর্যন্ত খবর, ৬৯০টি ভোট পেয়ে ৫৮টি আসনে জিতে গিয়েছে এসএফআই প্রার্থীরা। আইসি জিতেছে ৫২টি আসনে।
জিতছে এসএফআই
আরও পড়ুন: পরীক্ষা কিছুতেই পিছবে না, ছাত্রদের লেখাপড়া করার নির্দেশ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর
এদিন সন্ধে থেকে সেন্ট্রাল প্যানেলে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সভাপতি, সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ সাধারণ সম্পাদক এবং গার্লস কমনরুম সম্পাদক পদে ভোট গণনা চলছে। প্রথম রাউন্ডের গণনা থেকেই এই পাঁচটি পদে এগিয়ে রয়েছে এসএফআই। তবে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আইসি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আবহে চলে এদিনের ভোটাভুটি। তবে প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদের রাশ যে মূলত এসএফআই'র হাতে থাকছে তা মোটের ওপর স্পষ্ট। শেষ পর্যন্ত ফলাফলের এই ধারা বজায় থাকলে দীর্ঘ ৯ বছর পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতায় ফিরবে স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া।
উল্লেখ্য, ছাত্রছাত্রী বা ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই ১৪ নভেম্বর ছাত্র কাউন্সিল নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু আড়াই বছর পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট হওয়ার কারণে তাঁরা বাধা হয়ে দাড়াতে চাননি। এদিন, ২০১৩ সালের নির্বাচনের নিয়ম মেনেই ভোট শুরু হয় প্রেসিডেন্সিতে। বহাল ছিল সেন্ট্রাল প্যানেলের নিয়মও। সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্সিতে ভোটাভুটি হয়নি।