সামনে নাকি বাঘমশাই! আর তাদের প্রেমে মাতোয়ারা রবিনা ট্যান্ডন এই সুযোগ ছাড়তে পারেন। সাতপুরার ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের ভিতরে, তেনাদের দেখা পেতেই আনন্দে আত্মহারা রবিনা। ফটো তুলতে শুরু করলেন তিনি।
চারিদিকে পাখিদের কিচিরমিচির ছাড়া কিছুই নেই। এমনিতেও জাতীয় অভয়ারণ্য কিংবা টাইগার রিসার্ভ এর অন্দরে ছবি তোলা সাধারণত নিষিদ্ধই থাকে। কিন্তু সেখানে, হুডখোলা গাড়িতে রবিনা ট্যান্ডন। বাঘমামার দেখা পেয়েই পটাপট তুলতে লাগলেন ছবি। বাধ সেধেছে শাটারের আওয়াজ। বেজায় বিরক্ত বাঘমশাই নিজেও। নিজেই এই ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। তাতেই দেখা গেছে বাঘটিকে প্রতিক্রিয়া দিতে। কখনও বেজায় গর্জন করছে সে কখনও ভয় দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন < খুদে রাহাকে বাড়িতে রেখে প্রথমবার বাইরে আলিয়া, মেয়েকে নিয়ে বললেন… >
নিয়ম অনুযায়ী, এইসব অভয়ারণ্য কিংবা টাইগার রিসার্ভে নির্দিষ্ট স্থানের পরে আর যাওয়া যায় না। কিন্তু রবিনা তাঁর থেকে অনেকটাই ভেতরে পৌঁছেছিলেন। অভিনেত্রী বাঘ ভালবাসেন সে কথা কারওর অজানা নয়। কিন্তু তাঁর ফটো তোলার জেরে বন্যপ্রাণী অসন্তুষ্ট, নেটজনতার প্রশ্নের মুখে অভিনেত্রী। কেউ কেউ তাঁর দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তবে, শুধু তারাই নয়, প্রশ্ন উঠেছে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের তরফেও।
নিয়ম বিধি লঙ্ঘন করে বনের এত ভেতরে ঢুকেছেন রবিনা? কিন্তু কি করে? সাব ডিভিশনাল অফিসার, ধীরজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, নভেম্বরের ২২ তারিখ রবিনা ঘুরতে এসেছিলেন সেইখানে। তবে তাঁর গাড়ি জঙ্গলের অত গভীরে কীভাবে গেল সেই নিয়েই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই গাড়ির ড্রাইভার এবং অফিসারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভয়ারণ্যের ভেতরে এহেন কর্মকাণ্ড একেবারেই ভাল ঠেকেনি জনতার কাছে।
তবে রবিনা? অভিনেত্রী সম্পূর্ন ঘটনাকে খুব স্বাভাবিক বলেই ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতামত, কোনোভাবেই প্রাণীটিকে বিরক্ত করেননি তিনি। বাঘ কখন কীভাবে আচরণ করবে সেটা বোঝা দায়। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের গাড়ি, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অফিসার চালকদের কাছে যদি এভাবে তাঁরা ঘুরে বেড়ায়, তবে আমরা কি? ট্যুরিজম পাথে বাঘ এসে ঘোরাফেরা করছে সেটা খুব স্বাভাবিক। আর বিশেষ করে কেটি এই বাঘিনীটিও গাড়ির ধারেকাছে এসে ঘুরে বেড়ায়। তাই বলে, আমরা ওদের উত্যক্ত করি নি।
অভিনেত্রীর দাবি, গাড়িতে চুপ করেই বসেছিলেন তাঁরা। শুধুই বাঘিনীর মুভমেন্ট দেখছিলেন। বললেন, "বাঘ তো, ছোট্ট একটা শব্দেও অনেক কিছু করতে পারে। যেখানে ওরা অবাধ বিচরণ করতে পারে ওরা সেই জায়গার রাজা, আমরা তো পুতুল মাত্র। চুপ করে দেখা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই"।