বি আর চোপড়ার মহাভারতের প্রতিটা দৃশ্য এখনও গেঁথে আছে মানুষের মনে। সেই অসাধারণ মিউজিক থেকে সেট, রাজ দরবারের প্রতিটা অংশই খুঁটিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন সকলে। কাস্টিং ছিল ফাটাফাটি, রবিবার সকাল মানেই ডি ডি ন্যাশনালে সকাল সকাল মহাভারত। বাকি চরিত্রের সঙ্গেই দ্রৌপদী হিসেবে নজর কেড়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ( Rupa Ganguly )। কেমন ছিল সেদিনের শুটিং পর্ব, সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন নিজেই।
তখন ব্যস্ততা থাকত তুঙ্গে। রূপা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সকাল ৫ টার মধ্যে ফ্লোরে পৌঁছে যেতাম, জুহুর হোটেল থেকে ফিল্ম সিটি পৌঁছাতেই সময় লাগত। মেকআপ শুরু হয়ে যেত। সঙ্গেই চুলের স্টাইল, গয়না এবং স্পেশ্যাল পোশাক, সময় লাগত কি না! তাই সবার আগেই পৌঁছে যেতাম। ৭ টার মধ্যে তৈরি, শুটিং শুরু।
শুটিংয়ের ব্যস্ততা কাটিয়ে একেবারেই মহাভারত দেখার সময় পেতেন না অভিনেত্রী। জানান, লকডাউনের সময় যখন পুনরায় সম্প্রচার শুরু হয়, এতবছর পর সেইসময় দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। বাংলায় জন্ম তার, ঠিকভাবে হিন্দি ভাষা তখনও বলতে পারতেন না। হরিশ ভিমানি তাকে সাহায্য করেছিলেন, সুতরাং তার সংলাপের সঙ্গে এই মানুষটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।
ভারতীয় সংস্কৃতিতে বি আর চোপড়ার মহাভারত এক মাইলস্টোন। এতবছর পরেও সেটিকে লাইন বাই লাইন মনে রেখেছেন সকলে। কোথাও থেকে নির্দিষ্ট সেই সুর কানে এলেই মনে পড়ে যায় হাজারো পুরনো স্মৃতি। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এর এক অন্যতম সদস্য, প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন। আপামর মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন, তার কেরিয়ারে এটি অনন্য এক ফলক, যা ভুলবার নয়।