Durga Puja 2021: মা এসে গিয়েছেন মণ্ডপে-মণ্ডপে! পাল্লা দিয়ে থিমের প্যান্ডেল-সহ ঠাকুর দেখতে দলে দলে লোক নেমে পড়েছেন রাস্তায়। কিন্তু বিধি কলকাতা হাইকোর্ট। তাই কোভিড বিধি মেনেই এবার দূর থেকেই ঠাকুর দেখা। সেই স্রোতে চতুর্থীর রাতে গা ভাসিয়েছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী এবং তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা শর্মা। অভিনেত্রী সব্যসাচী অর্থাৎ ছোট পর্দার বামাক্ষ্যাপা এবং তাঁর অফস্ক্রিন বান্ধবীর সম্পর্ক ইতিমধ্যে ভাইরাল। নেপথ্যে ঐন্দ্রিলার দেহে বাসা বাঁধা মারণ রোগ ক্যান্সার।
হাসপাতালে থেকে রীতিমতো সঙ্গে থেকে বান্ধবীকে মানসিক ভাবে স্থির রাখার পাশাপাশি তাঁর সব আবদার মেনে নেওয়া। এভাবেই গত কয়েক মাস চলছে সব্যসাচীর। এবার তাই বান্ধবীর আবদার মেনেই শনিবার রাতে পথে নেমছিলেন পর্দার বামাক্ষ্যাপা।কিন্তু মানুষ, নো-পার্কিং, পুলিশি ব্যারিকেড সব মিলিয়ে এক গলদঘর্ম অবস্থা দুই জনের। তারপরে কী হল? সেই গল্প ফেসবুকে লিখেছেন খোদ অভিনেতা।
সব্যসাচী লেখেন, ‘বায়না করেছিল পুজোর ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে একটা ঠাকুর দেখাতেই হবে। ঐন্দ্রিলার শরীর একটু ভালো থাকায় ভয়ে ভয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম দক্ষিণ কলকাতার দুই নামকরা পুজো মণ্ডপে। অজস্র মানুষের মিছিল, ব্যারিকেড, আর নো-পার্কিংয়ের স্রোতে ঘেমেনেয়ে হতাশ হয়ে বলল “ধুর বাড়ি নিয়ে চলো, ঠাকুরকেই তো দেখতে পাচ্ছি না।“ ফেরার পথে এক অচেনা পাড়ার মোড়ে এই ক্ষুদ্র নামহীন ঠাকুরকে দেখে সামান্য গিয়ে দাঁড়ালাম। মধ্যরাতে মানুষ তো দূরের কথা কাকপক্ষীও নেই। তবে এই বিগ্রহের কোনও থিম নেই, চাকচিক্য নেই, আড়ম্বর নেই। বড়ই সাদামাটা, বড়ই আটপৌরে, ঠিক যেন মায়ের মতোন।‘
সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার এই অ্যাডভেঞ্চারকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেট দুনিয়া। তোমরা এভাবেই ভালো থেকো। নেট দুনিয়া জুড়ে এই প্রার্থনা।
এদিকে, উৎসবের উপহার রাজ্য পরিবহণ দফতরের। আজ থেকেই কলকাতা থেকে চালু হচ্ছে নাইট সার্ভিস বাস। পঞ্চমী থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত মিলবে এই পরিষেবা। পুজোর ক’দিনই এই পরিষেবা চালু থাকায় বাসে ঘুরে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রেও মিলবে ভরপুর সুবিধা। করোনা পরিস্থিতির জেরে রাতের এই বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে পুজো উপলক্ষে আপাতত লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ফের চালু রাতের বাস সার্ভিস।
জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ১৪ টি রুটে মিলবে এই নাইট বাস সার্ভিস। রাত জেগে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে মিলবে দারুণ সুবিধা। রীতিমতো পরিকল্পনা করে রাতের এই বাস পরিষেবা ফের চালু করল রাজ্য পরিবহণ দফতর। আজ থেকে আগামী ১১ দিন ধরে এই পরিষেবা মিলবে শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। হাওড়া স্টেশন থেকে বিমানবন্দর, বারাসত, ব্যারাকপুর, ডানলপ, কামালগাজি, গড়িয়া, বালিগঞ্জ পর্যন্ত চলবে রাতের এই বাস। সহজেই বিভিন্ন এলাকা থেকে এই বাসে চড়ার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। এছাড়াও হাওড়া-নিউটাউন, হাওড়া-করুণাময়ী, শ্যামবাজার-বারাসত, বেলগাছিয়া-এসপ্ল্যানেড রুটেও চলবে রাতের বাস।
পাশাপাশি এদিন বৃষ্টি নিয়েও একটা সম্ভাবনা উসকে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পুজো ভাসাবে বৃষ্টি? এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি করে রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার পাশাপাশি শহর কলকাতার একাংশেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ মহাপঞ্চমীতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা-মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। এমনকী বেশ কয়েকটি জেলায় বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। পঞ্চমীতেও আবহাওয়ার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে। ষষ্ঠী-সপ্তমীতেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি।
রবিবার আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরির কথা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এই পূর্বাভাস সত্যি হলে পুজোয় পিছু ছাড়বে না বৃষ্টি। অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজোর আনন্দ ম্লান করে দিতে পারে অসুর-বৃষ্টি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন