শি জিনপিঙের কোভিড শূন্য নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ ফুঁসছে চিন। প্রতিবাদের হাতিয়ার প্রয়াত সংগীত পরিচালক বাপ্পী লাহিড়ির গানের একটি লাইন, 'জিম্মি জিম্মি'। চিনে ভিন্নমতকে চিরকালই দাবিয়ে দেওয়া হয়। কমিউনিস্ট জমানায় সেটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছেছে। করোনা নির্মূল করার নামে জনগণকে ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য করছে জিনপিং সরকার। জনসাধারণের ওপর বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। প্রতিবাদে তাই সীমান্তপারের ভারতের এক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর গানকেই বেছে নিয়েছেন চিনের নাগরিকদের একাংশ।
গানই প্রতিবাদের হাতিয়ার
১৯৮২ সালে মিঠুন চক্রবর্তীর ডিস্কো ড্যান্সার ছবির বিখ্যাত গান ছিল 'জিম্মি জিম্মি'। মান্দারিনে সেই গানের সঙ্গেই চিনের বাসিন্দারা 'আমাকে ভাত দাও' শব্দটা জুড়ে দিয়েছে। সঙ্গে জুড়েছে পার্বতী খানের গানের ভিডিওর বিভিন্ন ক্লিপিংস- যেমন খালি চালের পাত্র, চাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতির চিহ্নগুলো। এই সব চাহিদা চিন সরকার পূরণ করতে পারছে না-বলেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা চিনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Douyin, TikTok-এই তাঁদের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। প্রতিবাদকারীদের প্রকাশিত কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে যে নিরাপত্তারক্ষীরা লকডাউনের প্রতিবাদকারী মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।
শ্রমিকরাও ফিরে গেছে
সম্প্রতি, অ্যাপলের নতুন আইফোনের অংশবিশেষ যুক্ত করার কাছে নিযুক্ত শ্রমিকরা বিপজ্জনক কাজের শর্তের কারণে মধ্য চীনের ঝেংঝু থেকে ফিরে গিয়েছেন। কারণ, বর্তমানে চীন-সহ সারা বিশ্বে কোভিডের ঘটনাগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তারপরও চিনের শাসকরা দেশের বেশিরভাগ অংশ তালাবদ্ধ করে রেখেছে। চিনের বেশিরভাগ রেস্তোঁরাগুলো বন্ধ। করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির সুকন্যা, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত-কন্যাকে জেরা চলছে
মাও জমানায় পরিবেশ আরও খারাপ ছিল
১৯৭৬ সালে নেতা মাও সেতুঙের মৃত্যুর আগে, চীনারা বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যাপক হারে ধরপাকড় চলেছে। পশ্চিমী দেশগুলোর পণ্য, সংস্কৃতি বা তথ্যের উপস্থিতি ছিল না। তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলোর অন্যতম কমিউনিস্ট শাসনাধীন চিন যে কোনও 'পশ্চিমী', 'আমেরিকান' বা 'পুঁজিবাদী' বিনোদন এবং সংগীতের স্বাদ পায়নি। ১৯৭৬ সালের পরে যখন চিনে ক্রমশ খোলা হাওয়া বইতে শুরু করে, তখন চিনারা সিনেমা দেখতে শুরু করে এবং বিশ্বের বাকি অংশের গান শুনতে শুরু করে।
Read full story in English