খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে কী সবসময় নতুন কিছু ট্রাই করার ইচ্ছে থাকে আপনার? আবার তার সঙ্গেই সবসময় ভেনু যদি একটু অন্য ধাঁচের হয় তবে একেবারেই মন্দ হয় না তাই না? সপ্তাহ শেষে শহর থেকে কিংবা নিজের বাড়ি থেকে একটু দূরে কোথাও যেতে ভালই লাগে। তাই আপনার এবারের গন্তব্য হতে পারে হেরিটেজ ধাবা রেস্তরাঁ।
Advertisment
দিল্লি রোডের ধারে আদ্যোপান্ত একটা বাস, তাও আবার কলকাতার প্রসিদ্ধ ডবল ডেকার বাস - যা এখন একেবারেই দেখা যায় না। নীল-সাদা রংয়ের এই বাসের অবস্থান চন্দননগর এবং চুঁচুড়ার মধ্যবর্তী অংশে। Stay in হোটেলের ইউটার্ন নিলেই চোখে পড়বে এই ধাবা। সুন্দর পরিবেশ তো বটেই আর আকর্ষণীয় খাবারদাবার - কী নেই! আপনি যদি পাক্কা ভোজনরসিক হন তবে একবার হলেও এখানে ঘুরে আসতে পারেন। কিন্তু হঠাৎ করেই এরকম একটি রেস্তরাঁর চিন্তা ভাবনা ঠিক কী ভেবে শুরু করেছিলেন হেরিটেজের ফাউন্ডাররা?
এক সদস্য বাবুয়া জানালেন, ইচ্ছে ছিল চন্দননগর টাউনে তৈরি করবেন একটি ধাবা। কিন্তু এত বড় একটা বাস দাঁড় করানোর জন্য অনেকটা জায়গা দরকার ছিল। সেটা পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই দিল্লি রোডের ধারেই এটি তৈরি করতে হয়েছে। অনেকেই মনে করেন হয়তো কোনও বাস সত্যিই দাঁড়িয়ে আছে। এটা যে রেস্তরাঁ সেটা বুঝতে অনেকের অসুবিধা হয়। কিন্তু মানুষের রেসপন্স খুব ভাল। তারা আসছেন, খাবার খেয়ে ভাল বলছেন। প্রশ্ন একটাই, দিল্লি রোডের ওপর জন পরিবহনের সুযোগ নেই, কোনওরকম অসুবিধা কী থাকছে? এক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য, না খুব একটা নেই। অনেকেই আসছেন। আশেপাশেও ধাবা রয়েছে। কেউ কেউ মাঝে মধ্যে উইকেন্ডে ঘুরতেও আসেন। আমরা নিজেরাও ভাবতে পারিনি যে এটা এত ভাল রেসপন্স পাবে।
খাবারের দাম সত্যিই নজরকাড়া। গুণমান যথেষ্ট ভাল, এবং সাধ্যের মধ্যে কেবাব থেকে চাইনিজ এমনকি বিরিয়ানি সবই পাবেন। সঙ্গে ছোট্ট একটি চায়ের স্টল পর্যন্ত আছে। স্পেশ্যাল মেনুর মধ্যে তিরঙ্গা কেবাব, দিলখুস কেবাব সবকিছুই দারুণ টেস্টি। বাসের ভেতরে এবং বাইরে দুই জায়গাতেই বসার সুবিধা রয়েছে। তাই এই উইকেন্ডে আপনার গন্তব্য এখানে হতেই পারে।