'দেবী, দেহি পদ পল্লব মুদরম' যদি কেউ নাও বলে আপনাকে, তা বলে কি আর নিজের পায়ের যত্ন নেবেন না? রোজ রোজ যাদের বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়, পায়ে ধুলোবালি লেগে পা নোংরা হয়ে যায়। নিয়মিত পায়ের পরিচর্যা করার সময় পান না যারা, উৎসবের মরশুমে একটু যত্ন নিন।
কী ভাবে পা পরিষ্কার করবেন?
নিয়মিত পা ধুতে হবে, এতে পায়ের ত্বক মসৃণ থাকবে। বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই ভালোভাবে পা পরিষ্কার করা জরুরি। সম্ভব হলে অল্প গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন। পা ডোবানোর আগে লিকুইড সাবান, বডি ওয়াশার কিংবা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন জলে। ২০ মিনিট পর স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে পা পরিষ্কার করে ফেলুন। অল্প গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখলে সহজে ময়লা পরিষ্কার করা যায়, পায়ের শুষ্কতাও কমে আসে।
এভাবে সম্ভব না হলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে লিকুইড সাবান, বডি ওয়াশার কিংবা শ্যাম্পু মিশিয়ে ভালোভাবে ঘষে পায়ের ময়লা তুলে ফেলুন। পেডিকিওর সেটের ব্রাশে তরল সাবান নিয়ে এর মাধ্যমে নখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
নেলপালিশ থাকলে তা দুই দিন পরপর উঠিয়ে ফেলা ভালো।
আরও পড়ুন, খুশকির সমস্যায় কী করবেন?
রাতে ঘুমানোর আগে সব কাজ সেরে বিছানায় বসে পায়ে বেশি করে তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। এরপর ঘুমানোর আগে আর নামবেন না। তেল আর পেট্রোলিয়াম জেলি দুটিই উপকারী। তবে তেল একটু পাতলা প্রকৃতির বলে খুব বেশিক্ষণ থাকে না। পেট্রোলিয়াম জেলিটাই বেশি সময় থাকে। সকালে পায়ের অনুভূতিটাই হবে সতেজ, বিশেষ করে গোড়ালিতে।
বাইরে গেলে
বাইরে যাওয়ার আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। অনেকে বাইরে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে চান না, কারণ তাতে সহজেই ময়লা আটকে যায়। এ অভ্যাসটি একেবারেই ঠিক নয়। ধুলো-ময়লা সরাসরি ত্বকে না লেগে পেট্রোলিয়াম জেলির স্তরের ওপর আটকালেই বরং তা পরিষ্কার করা সহজ হয়। রোদে বেরোনোর আগে ইচ্ছা হলে পায়ের ত্বকে সানস্ক্রিনসামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন। আবার তা না করলেও খুব একটা ক্ষতি নেই। সময়-সুযোগ পেলে বাইরে কোথাও পা ধুয়ে নিন। চাইলে ওয়েট টিস্যুও ব্যবহার করতে পারেন। পা ধোয়ার সুযোগ পাবেন মনে করলে এমন জুতা পরেই বেরোনো ভালো, যা ভিজলেও কোনো সমস্যা না হয়।
পায়ের ত্বক খুব সংবেদনশীল হলে পা-ঢাকা জুতা পরাই ভালো।