New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/05/PP-03-FREE-HUG-15-2.jpg)
এদিন প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন প্রজাপতি বিস্কুটের অভিনেতা অভিনেত্রীরাও।
কলকাতা মেট্রোয় নীতি পুলিশদের গুন্ডামির অনবদ্য জবাব দিল নগরবাসীরা। গত সোমবার ভিড় এড়াতে দমদমগামী সন্ধ্যের মেট্রোয় একজোড়া তরুণ-তরুণী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সামনে ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ভিড় থেকে সঙ্গিনীকে বাচাঁতে তাঁর কাঁধে হাত রেখেছিলেন ওই তরুণ। তার দরুণ কিছু অবাঞ্ছিত মন্তব্যের সামনে পড়েন তাঁরা। এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, তোমরা পার্ক স্ট্রিটের পাবে যাচ্ছ না কেন? অন্য একজন এই দুজনকে ঘর ভাড়া করতে বলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে মেয়েটা পাল্টা জবাব দিতেই ঝামেলা শুরু হয়। পরে দমদম ষ্টেশনে তাঁরা নামলে যুবকটিকে মারধোর করা হয়। সঙ্গে থাকা যুবতী তাঁকে বাঁচাতে চাইলে তাঁর গায়েও হাত দেন ঐ প্রবীনদল। এই নিগ্রহের অনবদ্য প্রতিবাদ হিসাবে এই শহরের অসংখ্য যুবক-যুবতী বেছে নেন এক অনবদ্য উপায়। মারের জবাব মার না দিয়ে তাঁরা হাঁটলেন মুন্নাভাইয়ের গান্ধীগিরির রাস্তায়। কলকাতা বরাবরই গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়েছে তার প্রতিবাদের অনবদ্য শৈলীর জন্য, এদিনটিও তার ব্যতিক্রম ছিলনা। মার নয়, ভালবাসাই বাচিঁয়ে রাখে আমাদের সকলকে। সেই বার্তাই সেদিন দিল এশহরের যুবসমাজ। রঙ-বেরঙ কাগজে #ফ্রিহাগস লেখা পোষ্টারে ছেয়ে ফেলার পাশাপাশি গানও ছিল তাঁদের প্রতিবাদের ভাষা। সাধারণ যুবক-যুবতীদের পাশাপাশি এদিন প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন টলি পাড়ার অভিনেতা অভিনেত্রীরাও। উপস্থিত ছিলেন প্রজাপতি বিস্কুট ছবির নায়ক আদিত্য সেনগুপ্ত এবং তাঁর বান্ধবী খেয়া চট্টোপাধ্যায়ও। পোস্টার-প্ল্যাকার্ড-স্লোগান ‘হোক আলিঙ্গন’এ ছেয়ে গেল এদিন কলকাতার আকাশ। আলিঙ্গন যে আদৌ অশ্লীলতা নয় এবং তা ঘৃণা ছড়ানো না জাতি বিদ্বেষের চেয়ে ঢেরগুন ভাল, এই বার্তাই দিলেন ওই প্রতিবাদীরা।