New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/04/cover-pic.jpg)
১. মানসিক চাপ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জন্য এপ্রিল মাসটিকে স্ট্রেস অ্যাওয়ারনেস মান্থ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এই সময়টায় পৃথিবী জুড়ে মানুষ কাজের চাপে মানসিকভাবে এতটাই ক্লান্ত এবং স্ট্রেসড থাকেন যে কারণে অনেকেই নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন হয়ে পড়েন। এরকমই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মিশরের শিল্পী সইফ হামজা। অনেকদিন ধরেই এ অবসাদ মুক্তির উপায় খুঁজছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত ছবি আঁকার মাধ্যমেই তিনি এ অবসাদকে জয় করেন। তাঁর আঁকা কিছু ছবি এখানে দেওয়া থাকল। Source: Photo by Sief Hamza/Facebook শিল্পী সইফ হামজা বছর দেড়েক আগে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সে সময়ে তাঁর চারপাশে ঘিরে থাকা অন্ধকারের মাঝে রঙ খুঁজে পান তিনি। শুরু করেন ছবি আঁকতে। একসময়ে বুঝতে পারেন ছবি আঁকাকে ভালবেসে ফেলেছেন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, "প্রথমদিকে যেখানেই যা ছোট টুকরো কাগজ পেতাম সেখানেই মনে যা আসে সেসব কথা লিখতে শুরু করি। তারপর এভাবে লিখতে গিয়ে কাগজে দাগ কাটা শুরু। দাগ কাটতে কাটতেই শুরু করে ফেল ছবি আঁকতে" হামজা আরও বলেন, "পেশাদার শিল্পীদের মত আমার ছবি আঁকার কোনও পুঁথিগত প্রশিক্ষণ নেই। কাগজে আঁকিবুঁকি করতে করতে বুঝতে পারি ছবিই পারে আমার মনের ভাবকে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে। এরপর থেকে শুরু ছবি মন দিয়ে ছবি আঁকার। আমি ইউটিউবে বিভিন্ন শিল্পীদের ছবি আঁকার ভিডিও দেখতে শুরু করি এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করতে থাকি।" "পেইন্টিং আমাকে নতুন জীবনের সন্ধান দিয়েছে। এই পেইন্টিং -এর মাধ্যমে আমি নিজের মানসিক অবসাদ এবং দুঃখগুলো সব কাটিয়ে উঠি" শিল্পী জানিয়েছেন," বিশেষত সোশ্যাল সাইটগুলোতে যখন দেখলাম আমার আঁকা ছবি সবাই শেয়ার করছে তখন আরও বেশি করে ছবি আঁকাতে অনুপ্রাণিত হলাম।" "নিজের ভিতর ভালো ছবি আঁকার একটা তাগিদ তৈরি হল। ইন্টারনেটে আমার কাজ নিয়ে এত বেশি আলোচনা হতে শুরু হল যে বুঝতে পারলাম আমি কারও থেকে কোনও অংশে কম নই।" হামজা নিজের ছবিকে ব্যাখা করতে গিয়ে জানিয়েছেন, " একমাত্র শিল্পই পারে গোটা বিশ্ব এক সুতোয় বেঁধে দিতে, অন্ধকার শক্তিকে পরাজিত করে নতুন আলোর সন্ধান দিতে" এখন অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলতে বলতে নতুন নতুন ছবির আইডিয়া মাথায় আসতে থাকে হামজার। "আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকের সঙ্গেই কথা বলতাম। এই কথা বলতে বলতে গিয়ে বুঝতে পারলাম তাঁরা আমায় নিয়ে যে সমালোচনা করছেন বা যে কথা বোঝাতে চাইছেন, তা স্পষ্ট নয়।" "আমি এখন নিজেকে একজন যোদ্ধা মনে করি। যা আমাকে একজন ভালো মানুষ তৈরি হতে সাহায্য করবে।" হামজা তাঁর আঁকা ছবি প্রায়শই ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেখানে অনেকের মন্তব্যের উত্তর দিতে দেখা যায় তাঁকে।