জ্বালানী থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, লখিমপুরে কৃষকদের মৃত্যু থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি, সিএএ-এনআরসি- বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ইস্যু রয়েছে। সোচ্চার হচ্ছে কংগ্রেস। কিন্তু, ফল মিলছে না। উল্টে দেশের নানা রাজ্যে ভাঙছে দল। শতাব্দীপ্রাচীন দলের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এই অবস্থায় দলের নেতা, কর্মীদের সার্বিকভাবে ঐক্য, শৃঙ্খলার বার্তা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। নীতিগত প্রশ্নে রাজ্যস্তরে দলের নেতাদের মধ্যে অনৈক্য ও অসামঞ্জস্যতা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত উচ্চাশার ঊর্ধ্বে উঠে নেতৃত্বকে কাজ করতে হবে বলে বার্তা দেন তিনি।
সনিয়ার দাবি, রোজই বিজেপি, আরএসএস, সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে জাতীয়স্তরে কংগ্রেস নানা বিষয়ে বিরোধী সুর তোলে। তবে, তা ক্রম সঞ্চারণের নীতি মেনে দলের জেলা, ব্লকস্তরে পৌঁছায় না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, এআইসিসি- সাধারণ সম্পাদকদ ও রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে এ দিন বৈঠক করেন সনিয়া গান্ধী। সেখানেই সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেত্রী।
সনিয়া গান্ধী বলেছেন, 'বিজেপি-আরএসএস-এর নোংরা নীতির বিরুদ্ধে আমাদের জোরদার প্রচার করতে হবে। এই লড়াই জিততে দৃঢ়তার সঙ্গে ওদের মিথ্যার মুখোশ মানুষের সামনে খুলে দিতে হবে। দেশের সামনে নানা সমস্যা রয়েছে, সেগুলির বিস্তারিত বিবরণ প্রতিদিন এআইসিসি-র তরফে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলছে তা দলের নীচু তলার গিয়ে পৌঁছায় না। নীতিগত প্রশ্নেও রাজ্যস্তরের নেতার মধ্যেও অসামঞ্জস্যতা ও অনৈক্য রয়েছে বলে মনে হয়।'
পাশাপাশি তিনি বলেন, 'বিজেপি-আরএসএস-এর বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণামূল প্রচার আক্রমণের অবিরাম মোকাবিলার জন্য অবশ্যই আমাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এবং জনগণের কাছে কংগ্রেসের মূল নীতি-আদর্শকে তুলে ধরার প্রয়াস চালাতে হবে।'
দলের উন্নতিতে ব্যক্তিগত স্বার্থ ভুলে নেতাদের কাজ করারও নির্দেশ দিয়েছে সনিয়া গান্ধী। তাঁর কথায়, 'কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে শৃঙ্খলা এবং ঐক্যের উপর সব থেকে বেশি জোর দিতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ হল সংগঠনকে পোক্ত করা। এ জন্য অবশ্যই ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খাকে পরিত্যাগ করতে হবে। এর মধ্যেইযৌথ ও ব্যক্তিগত সাফল্য নিহিত রয়েছে।'
আগামী ১লা নভেম্বর থেকে কংগ্রেসের সদস্য সংগ্রহ অভি্যান শুরু হবে। যেকোনও রাজনৈতিক দলের কাছে আন্দোলন সংগঠিত করার অন্যতম হাতিয়ার তার সদস্যরা বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন