ভোটে 'ঘরের মেয়ে'র প্রতিই আস্থা দেখিয়েছে ভবানীপুর। 'ডু অর ডাই' ম্যাচে প্রতিপক্ষকে রেকর্ড মার্জিনে হারিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী এবার ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত আটটি ওয়ার্ডেই জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। এতেই আপ্লুত মমতা। রবিবার জয়ের পর নিজেই সেকথা জানিয়েছিলেন। এই ঝয়ের ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্বভার পালনে আর কোনও বাধা থাকলো না। তবে, সময় নষ্টে রাজি নন তৃণমূল 'দিদি'। জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই বিধায়ক পদে শপথ নিতে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছে শাসক দলের নেতৃত্ব। আজ আবারও বৈঠক হতে পারে। জানা গিয়েছে, মহালয়ার পরদিন অর্থৎ ৭ অক্টোবর বিধায়ক পদে শপত নিতে ইচ্ছুক তৃণমূল নেত্রী।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক পদে বিধানসভার স্পিকার নাকি রাজ্যপাল, কার কাছে শপথবাক্য পাঠ করবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে বিধানসভার স্পিকার শপতবাক্য পাঠ করান। অর্থৎ, রাজ্যপাল অনুমতি দিলেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, বিষয়টি প্রথমে রাজ্যপালকে জানানো হবে। তারপরই মমতার শপথ আদৌ ৭ অক্টোব হবে কিনা তা স্থির হবে। স্পিকার, নাকি রাজ্যপাল বিধায়ক মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন তাও চূড়ান্ত হবে।
মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ভবানীপুর উপনির্বাচনে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কের জয় পেতেই হল। সেই পরীক্ষায় সফল তৃণমূল নেত্রী। শুধু জয়ই পাননি, অতীতে সব নজির ভেঙে ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন 'দিদি'। এই কেন্দ্রের সব ওয়ার্ডেই তৃণমূল জিতেছে। তাই জন্য ভবানীপুরের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- তিনি কেন্দ্রের নির্বাচনে রাজ্যে বিরোধী দলের মান রাখল কংগ্রেস
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন