ইস্টবেঙ্গল: ১ (ক্লেইটন)
ওড়িশা এফসি: ৩ (মরিসিও-২, নন্দকুমার)
টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। বেঙ্গালুরুকে ২-১ গোলে হারিয়ে আইএসএল-এর ইতিহাসে প্ৰথমবার একই সিজনে চতুর্থ জয় সম্পন্ন করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত হল লাল-হলুদ শিবির।
জোড়া গোল করলেন দিয়েগো মরিসিও। ক্লেইটন সিলভা ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একটি গোল করলেও নন্দকুমারের চোখ জুড়ানো গোলে ওড়িশা ৩-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে।
হেরে যাওয়া ম্যাচে প্রথমে লিড নিয়েছিলেন ক্লেইটন সিলভাই। ১০ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ক্লেইটন সিলভা।আলেক্স দুর্ধর্ষ পাস বাড়িয়েছিলেন ক্লেইটনকে। সেখান থেকেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন সিলভা।
চলতি সিজনে ৮ গোল করে ইতিমধ্যেই লিগের টপ স্কোরার সিলভা। তবে তিনি দলকে লিড এনে দিলেও বেশিক্ষণ সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ। বিরতির আগেই ওড়িশা সমতা ফেরায় নন্দকুমারের ওয়ান্ডার গোলে। বাঁ দিক থেকে ক্রস তোলার চেষ্টায় ছিলেন নন্দকুমার। সেই ক্রসই জালে জড়িয়ে যায় গোলকিপার শুভম সেনকে পেরিয়ে।
বিরতির আগেই ২-১ করে যায় ওড়িশা। রেনিয়ের ফার্নান্দেজ ছয় গজি বক্সের মধ্যে ক্রস তুলেছিলেন। গোলকিপার শুভম সেনকে একা পেয়ে সমতা ফেরাতে দেরি করেননি মরিসিও।
দিয়েগো মরিসিওর দ্বিতীয় গোলেও এসিস্ট রেনিয়ের ফার্নান্দেজের। মাঝমাঠের ডান প্রান্ত থেকে ফার্নান্দেজ থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন মরিসিওকে উদ্দেশ্য করে। সেই পাস ধরেই ৩-১ করে যান ওড়িশার তারকা স্ট্রাইকার।
শেষদিকে অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় অমরিন্দর সিংকে টপকে একটি গোল করলেও অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়ে যায়।