আয়ারল্যান্ড: ৯৬/১০
ভারত: ৯৭/২
India vs Ireland Match: আয়ারল্যান্ডকে হারাতে কার্যত কোনও ঘাম-ই ঝড়াতে হল না ভারতকে। প্রথমে।দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে আইরিশকে মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে দেওয়া। তারপর ব্যাট হাতে নেমে অগোছালো পিচে রোহিত শর্মার দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি। জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে ভারতের লাগল মাত্র ১২.২ ওভার। ৮ উইকেটে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ধুন্ধুমার ভঙ্গিতে।
রান চেজ করতে নেমে ভারত তৃতীয় ওভারেই কোহলিকে হারায়। এরপরে পন্থ-রোহিতের পার্টনারশিপ। ভারতের জয় হল একদম মসৃণ গতিতেই।
ভারত সহজে জিতলেও ফের একবার আলোচনায় উঠে এল নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ এবং আউটফিল্ড। অমসৃণ বাউন্স। আউটফিল্ডে সজোরে বল হাঁকালেও বল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের মত উদ্বেগের কারণ দিয়ে গেল এই স্টেডিয়ামে।
এমন আনইভেন বাউন্সের খপ্পরে পড়ে রোহিতের কনুইয়ে বল আঘাত করল। হাফসেঞ্চুরি করেও যে কারণে ক্যাপ্টেনকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হল। এমনকি ঋষভ পন্থও আইরিশ বোলারদের বেশ কয়েকবার আঘাত সহ্য করলেন। বাংলাদেশ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা পন্থ তিন নম্বরে নেমে বিশ্বকাপের প্ৰথম ম্যাচেই ভরসা জোগালেন। আয়ারল্যান্ড ম্যাচেও পন্থের ব্যাট থেকে বেরোল বলে ২৬ বলে ৩৬ রানের সপ্রতিভ ইনিংস।
তার আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় পেস আক্রমণের সামনে কুলকিনারা পায়নি আয়ারল্যান্ড। টসে জিতে ক্যাপ্টেন রোহিত বোলিং নিয়েছিলেন। পিচের বাউন্স এবং সিম মুভমেন্ট সামলাতে সারাক্ষণ হিমশিম খেলেন আইরিশরা। অর্শদীপ সিং তৃতীয় ওভারেই জোড়া ধাক্কা দেন দুই আইরিশ ওপেনারকে ফিরিয়ে। তাঁর বলের সামনে কার্যত থৈ পাচ্ছিলেন না স্টার্লিং, বলবির্নিরা।
অর্শদীপ ভারতকে জোড়া ব্রেকথ্রু দেওয়ার পর আয়ারল্যান্ড ব্যাটারদের ওপর ক্রমাগত চাপ বজায় রাখেন জসপ্রীত বুমরা, হার্দিক পান্ডিয়ারা। সপ্তম ওভারে উইকেটের খাতা খোলেন হার্দিক। নবম ওভারে উইকেটশিকারীর তালিকায় নাম ওঠে বুমরার। বুমরা মাত্র ৬ রান খরচ করে জোড়া উইকেই নেন। বুমরা-অর্শদীপের সংগ্রহে দুটো করে উইকেট। হার্দিক ৩ উইকেট দখল করেন ২৭ রানের বিনিময়ে। ভারতের নিখুঁত বোলিংয়ের সামনে পুরো ২০ ওভার-ও টিকতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ১৬ ওভার কোনওরকমে খেলে।
ভারতের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে আয়ারল্যান্ড একসময় ৫০/৮ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে দৃঢ়তা দেখিয়ে আইরিশদের প্রায় একশো ছুঁইছুঁই স্কোরে পৌঁছে দেন ডেলানি এবং জশুয়া লিটল। দুজনে নবম উইকেটে ২৭ রানের দাঁত কামড়ে ক্রিজে পড়ে থাকা পার্টনারশিপ উপহার দেন। শেষ পর্যন্ত এই জুটিতে ভাঙন ধরান বুমরা।
নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে আইসিসি যথেষ্ট চাপে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে দুই দলের স্ট্রোক প্লেয়াররা হিমশিম খেয়েছিল ক্রিজে নেমে। শ্রীলঙ্কার ৭৮ রানের টার্গেট চেজ করতে কালঘাম বেরিয়ে যায় প্রোটিয়াজ বিগ হিটারদের-ও।
বুধবারে আয়ারল্যান্ডের মাত্র ৯৬ রানে গুঁড়িয়ে যাওয়া মোটেও আইসিসিকে স্বস্তি যে দিল না, তা বলাই বাহুল্য।