অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ একইসঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ যাত্রা আটকানোর সম্ভাবনার আশঙ্কাও তুলে ধরা হল সুপ্রিম কোর্টে। এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশযাত্রা করে নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসার পরেও কেন রুজিরার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে, এদিন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন রুজিরাকে বিমানবন্দরে আটকানো হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
অভিষেকের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতে জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য আগামী ২৬ জুলাই বিদেশ যেতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৮ অগাস্ট অস্ত্রপচারের জন্য বিদেশে তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। সব শুনে, এদিন এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। জবাব দেওয়ার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছেন ইডির আইনজীবী। এই মামলারপরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রা আটকানো উচিত হবে না বলে সোমবার ইডিকে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি অভিষেক-পত্নী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে কেন, তা ইডির কাছে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন- বুধবারই বিদেশের পথে অভিষেক? হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে অনুমতির আর্জি
গত ৫ই জুন দুই সন্তনকে নিয়ে দুবাই যাচ্ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু, কলকাতা বিমানবন্দরেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়৷ বিমানবন্দরের অভিবাসন বিভাগ তাঁকে আটকানো বলে জানা যায়। বিমানবন্দরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে বাড়ি ফিরে যান তিনি। কলকাতা বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকানোর পরেই তাঁকে ইডি দফতরে হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হয়।
এই ঘটনার পরেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ইডি আধিকারিকদের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আগামী দিনে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি। বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসার পরের দিনই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় ইডি৷ দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন পঙ্কজ কুমার নামে এক উচ্চ পদস্থ ইডি আধিকারিক।
নির্দিষ্ট দিনে বেলা ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন। যদিও তাঁর হাজির হওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টা নাগাদ। এদিন সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্স। ইডি দফতরে প্রবেশাধিকার নিয়েও একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।