রবিবার বড়দিন। তার আগে সেজে উঠেছে হুগলির ব্যান্ডেল চার্চ। বড়দিন উদযাপনে শনিবার থেকেই পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে চার্চে। আগামিকাল গির্জার ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। তাই এদিনই উদযাপনে মেতে বাঙালি।
Advertisment
চার্চে প্রবেশের মুখেই রয়েছে বিশাল গোসালা। চার্চ পরিসরে প্রবেশ করলেই দেখা মিলবে যীশু ও মা মারিয়ার বিভিন্ন মূর্তি। গোটা চার্চ চত্বর আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। যা গঙ্গাপাড়ের রাতকে উৎসব মুখর করে তুলছে। মূলত শনিবার রাত থেকেই শুরু হবে বড়দিনের উপাসনা। উপাসনা গৃহে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ছাড়া অন্যান্যদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত।
ব্যান্ডেল চার্চ বর্তমানে ব্যাসিলিকায় পরিণত। চার্চ যত পুরানো হয় এবং তার পেছনে কিছু ইতিহাস থাকলে চার্চকে ব্যাসিলিকা উপাধি দেন স্বয়ং পোপ। এদিন ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার (প্রায়র) জন জানান, ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে দশটা থেকে গির্জার উপাসনাস্থলে প্রার্থনা শুরু হবে। বড়দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই উপাসনা। সেই উপাসনা শেষ হতেই বড়দিন শুরু হবে।
রবিবারও চলবে উপাসনা। বড়দিনের দিন ব্যান্ডেল চার্চে সকাল ৭টা, সওয়া ৯টা ও ১১টায় উপাসনা হবে। উপাসনা চলাকালীন অন্যান্যরা চার্চের ভেতর প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে গোসালা অবধি জনসাধারণ যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য গত দু'বছর কোভিড পরিস্থির জন্য উথসব উদযাপনে নিয়ন্ত্রণ ছিল। চিনে করোনা আক্রান্তের হার বাড়ছে। যা ভয় ধরাচ্ছে বিশ্বকে। ২০২০-র ভয়াবহ স্মৃতি মনে করে আতঙ্কে ভারতও। প্রশাসন নজর রাখছে অবস্থার উপর। এখনও কোভিড নিয়ে কোনও সরকারি নির্দেশিকা না থাকায় বিধিনিষেধ থাকছে না। ফলে উচ্ছ্বাসে ঘাটতি পড়ছে না আম বাঙালির।
এদিন রাতে উপাসনা চলাকালীন যাতে কোনভাবেই আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয় তার জন্য চুঁচুড়া থানার আইসি অনুপম চক্রবর্তী ফোর্স নিয়ে নিজে চার্চে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ফাদার জন। রাজ্য সরকার ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডেল চার্চ আলো দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানান ফাদার। প্রতিবারের মতো এবারও ২৫শে ডিসেম্বর ও ১লা জানুয়ারি মূল গীর্জা বন্ধ থাকবে।