ফের বিস্ফোরণে কাঁপল বীরভূম। সদাইপুরের রেঙুনিয়া গ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়েছে তৃণমূল নেতার বাড়ি। কী কারণে বিস্ফোরণ? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে মজুত রাখা বোমা থেকেই বিস্ফোরণ বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও একথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় তৃণমূল নেতা শেখ বদরুজ্জাকে আটক করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সদাইপুরের রেঙুনিয়া গ্রামে বুথ সভাপতি শেখ বদরুজ্জার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর বাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। এলাকায় অশান্তি ছডড়ানোর জন্যই বাড়িতে বোমা মজুক করে রেখেছিলেন তৃণমূল নেতা, এমন দাবিই করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বাইরে থেকে কেউ এসে বোমা ছুড়েছে। তার জেরেই বিস্ফোরণ হয়েছে। উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতার মেয়ে হাইতুনেশা খাতুন সাহাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান।
আরও পড়ুন: মমতার পা ছুঁয়ে প্রণাম! বিরোধী তোপের মুখে বাংলার আইপিএস অফিসার
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোরে উত্তপ্ত বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা। জুলাই মাসেও বীরভূমে বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসে। মল্লারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছিল ক্লাব ঘরের ছাদ। বীরভূমের প্রশাসনিক বাংলো এলাকাতেও বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ক’দিন আগে খয়রাশোলে তৃণমূলের এক নেতার বাড়িতেও বিস্ফোরণের খবর মিলেছিল। সেই প্রেক্ষাপটেই এদিনের বিস্ফোরণে এলাকায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, এবার বীরভূমে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হলেও, বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। এরফলে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন বীরভূমের প্রবল পরাক্রমশালী তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া, লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামও জার্সি বদল করে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। ফলে, এদিনের ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক জমি দখলের চেষ্টাই দায়ি কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।