বাস-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু মিছিল। চাষের কাজ সেরে অটোয় বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক মৃত্যু আট মহিলা আদিবাসী শ্রমিকের। মারাত্মক এই দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অটোচালকও। মঙ্গলবার ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুরে। সরকারি ওই বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৯ জনের। দুর্ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ মৃতদেহ ছড়িয়ে ছটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় জাতীয় সড়কে। পরে পুলিশ এসে ৬০ নং জাতীয় সড়ক থেকে মৃতদেহগুলি সরানোর বন্দোবস্ত করে। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়ি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মালদহ থেকে সিউড়িগামী একটি সরকারি বাসের সঙ্গে মল্লারপুরগামী একটি অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মল্লারপুরের মেটেলডাঙা ও তেলডা গ্রামের মাঝে ভয়াবহ এই দুর্ঘটানটি ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে আটজনই আদিবাসী মহিলা শ্রমিক।
মল্লারপুরের গৌরবাজার এলাকায় তাঁরা চাষের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই কাজ সেরে অটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। তবে শেষমেশ আর তাঁদের বাড়ি ফেরা হল না। মৃত আদিবাসী ওই মহিলাদের প্রত্যেকেরই বাড়ি রামপুরহাটের পারকান্দি গ্রামে।
আরও পড়ুন- ‘ব্যাগ গোছানোর সময়ও যেন না পায়, এক কাপড়েই তুলে নিক’, অনুব্রতকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে বিকট একটি শব্দ হয়। সেই আওয়াজেই ছুটে আসেন আশেপাশের বাসিন্দারা। তবে ততক্ষণে মারাত্মক ওই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন বাসচালক, তারই জেরে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। এদিন এই দুর্ঘটনার পরেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা।
এদিকে, এদিন ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরেই এলাকায় যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ এসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি দুটিকে সরানোর বন্দোবস্ত করে। বেশ কিছুক্ষণ পর ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনায় এলাকার আট মহিলার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রামপুরহাটের পারকান্দি গ্রামে।